ভিয়েতনামে লকডাউন, কফি সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউন জারি করা হয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরে। ফলে বিপাকে পড়েছেন এখানকার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পণ্য কফির রপ্তানিকারকেরা। এ ছাড়া বৈশ্বিক সরবরাহেও ব্যাঘাত ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

করোনাভাইরাসের ডেলটা ভেরিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় ভিয়েতনামের অন্যতম রপ্তানিকেন্দ্র হো চি মিনে কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ভিয়েতনাম হলো বিশ্বের রোবস্তার কফি বিনের অন্যতম উৎপাদনকারী দেশ। এই তিতকুটে স্বাদযুক্ত কফি মূলত ইনস্ট্যান্ট কফি ও এক্সপ্রেসো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

লকডাউন জারি হওয়ায় রপ্তানিকারকেরা পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। বিশ্বব্যাপী এর সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ইতিমধ্যেই শিপিং কনটেইনারের ব্যাপক ঘাটতি এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।

হো চি মিন শহর ও এর বন্দর বিশ্বব্যাপী শিপিং নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা চীন থেকে ইউরোপ পর্যন্ত চলে। ভিয়েতনাম কফি-কোকো অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠন এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। তারা রপ্তানির স্বার্থে লকডাউন শিথিলের আহ্বান জানিয়েছে।

তবে কেবল ভিয়েতনাম নয়, এবার কফি সরবরাহে ঘাটতি হতে পারে ব্রাজিল থেকে। ব্রাজিল, বিশ্বের অন্যতম দামি অ্যারাবিকা কফি বিনের সবচেয়ে বড় উৎপাদক। খরা ও হিমের কারণে এবার উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিমের ক্ষতি এতটাই মারাত্মক ছিল যে অনেক কফিচাষিকে গাছ পুনরায় রোপণ করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার অর্থ ফসল আসতে আসতে তাঁদের তিন বছর সময় লেগে যাবে।