মাঠের বাইরে যে লড়াইয়ে রোনালদোকে হারিয়েছিলেন মেসি

ছবি: রয়টার্স

ফুটবলবিশ্বের দুই মহারথী লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর তো মাঠে হরহামেশায় লড়াইয়ে নামতে হয়। তাঁদের মধ্যে কে সেরা—এ নিয়ে বিতর্ক যেন কখনোই শেষ হওয়ার নয়। এমনকি বর্তমানে চলা ইউরো-২০২০ ও কোপা আমেরিকা-২০২১ দুটো আলাদা আসর হলেও এই দুজনের মধ্যে কে ভালো খেলছেন, এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন তৈরি করেই রেখেছেন দর্শকেরা। তবে মাঠের বাইরেও তাঁদের লড়াইয়ের চমকপ্রদ গল্প রয়েছে।

২০১৬ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক নিলামে অংশ নিয়েছিলেন দুই সেরা ফুটবলারের প্রতিনিধিরা। একটি ১৯৫৭ ফেরারি ৩৩৫ এস স্পাইডার স্ক্যাগলিয়েত্তি নিয়ে হয়েছিল ওই নিলাম। ইতালিয়ান বিলিয়নিয়ার আলেসান্দ্রো প্রোতো নিলামে তুলেছিলেন ওই গাড়ি।

রেসিংয়ের দুনিয়ায় গাড়িটির চমকপ্রদ কাহিনি আছে। ১৯৫৮ সালে কিউবান গ্রাঁ প্রিঁতে ঐতিহাসিক এই গাড়ি চালিয়েছিলেন ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার স্টার্লিং মস। এরপর থেকেই গাড়িটাকে সবচেয়ে দামি ফেরারি হিসেবে ধরা হয়। গাড়িটি অন্য অনেক রেসও জিতেছিল এবং অনেককাল এটি রেসিং চালকদের জন্য একটি স্বপ্নের গাড়ি ছিল।
১৯৫০ সালে তৈরি এই মডেলের মাত্র চারটি গাড়িই তৈরি করেছিল ফেরারি। তাই একেকটির দাম এতটা আকাশছোঁয়া।

স্পানিশ নিউজপেপার স্পোর্টয়ের তথ্য অনুযায়ী ৩ কোটি ২০ লাখ ইউরো (সে সময়ের হিসাবে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা) দিয়ে নিলামে গাড়িটি কিনেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। আলেসান্দ্রো প্রোতোও সে সময় এমনটা জানান। মেসির জন্য এই গাড়ি তৎকালীন সময়ে ফেরারির ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া গাড়িতে পরিণত হয়েছিল।

খেলনা গাড়ি হাতে মেসির ইনস্ট্রাগ্রামের সেই ছবি

মেসির আগে আলেসান্দ্রো প্রোতোই ছিলেন সর্বশেষ এই গাড়ির মালিক। প্যারিসে নিলামে তোলার সময় এর ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ২ কোটি ইউরো। স্পানিশ নিউজপেপার স্পোর্টয়ের তথ্য অনুযায়ী নিলামে রোনালদোর এজেন্টরা ৩ কোটি ইউরো পর্যন্ত টক্কর দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য মেসির কাছে তাঁদের রণে ভঙ্গ দিতে হয়েছিল।

তবে গল্পটা এখানেই শেষ হলো না। এর এখনো একটি চমক আছে। তা হলো মেসি কিন্তু কখনো এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। গোল ডট কমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সে সময় ইনস্টাগ্রামে একটি মজার পোস্ট করেছিলেন তিনি। হাতে ফেরারির ওই মডেলের মতো দেখতে একটি খেলনা গাড়ি নিয়ে ছবি পোস্ট করেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন নিজের নতুন গাড়ি। আর তাই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা রহস্য রয়ে গেছে।