মার্কিন অর্থনীতির পথ নির্ভর করছে করোনার ওপর

ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল

করোনা মহামারির প্রভাব কমে এলেও অর্থনীতিতে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বুধবার নীতিনির্ধারণী সুদের হার শূন্যের কাছাকাছি রেখে ফেড জানায়, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি মূলত ক্ষণস্থায়ী বিষয়গুলোর প্রভাব।

ফেডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যখন কর্মসংস্থান জোরদার হচ্ছে, তখন আবার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে। ফেড সতর্ক করে বলেছে, মার্কিন অর্থনীতির পথ করোনা পরিস্থিতি কী হবে, তার ওপর ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ নির্ভর করবে।

মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ৫ শতাংশ, যা কিনা ২০০৮ সালের আগস্টের পর সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকেরা মনে করছিলেন, মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে হয়তো নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়াবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যাতে ব্যবসা ও ভোক্তাদের ঋণ গ্রহণের ব্যয় বাড়বে। তবে গতকাল সেই আশঙ্কা দূর করেছে ফেড। তারা বলছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে মার্কিন অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য তারা তাদের সব ফ্যাক্টর ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকও জোর দিয়ে বলছে, বেকারত্ব হ্রাসে অগ্রগতি না হওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতি ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ওপরে না ওঠা পর্যন্ত সহায়তা প্রদান বন্ধ করবে না।
ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (এফওএমসি) কর্মকর্তারা ২০২১ সালে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। তারা মনে করছে, এ বছর ৩ দশমিক ৪ শতাংশে থাকবে মূল্যস্ফীতি, যা মার্চে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল তারা। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও বাড়িয়েছে তারা। আগে সাড়ে ৬ শতাংশ করলেও এখন ৭ শতাংশ হবে বলে মনে করছে এফওএমসি।