মার্কিন নির্বাচন ও করোনার প্রভাব তেল ও শেয়ারবাজারে

ছবি: রয়টার্স

ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আবারও আরোপ করা হয়েছে লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার লেনদেনের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।

এশিয়ায় ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৫ ডলারে নেমে আসে। তবে পরে আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় পরিস্থিতি। প্রথমে পড়লেও মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশা তৈরি হওয়ায় দিন শেষে কিছুটা বেড়েছে দাম। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এশিয়ার বাজারে গতকাল সোমবার দিন শেষে তেলের দাম ৩ শতাংশ বাড়ে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেলের দামেও প্রথমে ব্যাপক দরপতন হয়। ৭ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি দাম ৩৩ দশমিক ৬৪ ডলারে গিয়ে ঠেকে। পরে অবশ্য ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায় দাম। দুপুরের আগে আগে লন্ডনের বাজারে তা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়—মূল্য দাঁড়ায় ৩৮ ডলার।

তেলের দামের মানদণ্ড হচ্ছে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম। কিন্তু বছরের শুরুর সময়ের তুলনায় সেই তেলের দাম এখন ৪৫ শতাংশ কম। এ পরিস্থিতিতে বড় বড় তেল কোম্পানিগুলো কর্মী ছাঁটাই করছে—বিপি, শেল, কে নেই এই তালিকায়।

অন্যদিকে, দিন শেষে তেলের বাজার কিছুটা শান্ত হওয়ার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায় শেয়ারবাজারে। যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে ডাও জোন্স সূচক বাড়ে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ বাড়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ, নাসডাক সূচকটি বাড়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ইতিবাচক ছিল ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের পুঁজিবাজারও। আজ মঙ্গলবার ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এশিয়ার পুঁজিবাজারও। জাপান, চীন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া—সব কটি বাজারেই সূচক বেড়েছে।

এদিকে গত ১৯ অক্টোবর জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক ও এর সহযোগী জোটের দেশগুলোর মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে জ্বালানি তেলের বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়। এখন পর্যন্ত ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত, ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ৭৭ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল কম উত্তোলন করা হবে। জানুয়ারি থেকে কমানো হবে ৫৮ লাখ ব্যারেল। অবশ্য পরিস্থিতি বাধ্য করলে উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে আসতে পারে—এমন কথাও বলা হয়।