মালয়েশিয়ার উৎপাদনকারীর পামতেল নেবে না যুক্তরাষ্ট্র

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাম তেল উৎপাদনকারীর কাছ থেকে আমদানি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগ (সিবিপি)।
ছবি: রয়টার্স

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাম তেল উৎপাদনকারীর কাছ থেকে আমদানি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগ (সিবিপি)। বাধ্যতামূলক শ্রম নিয়ে উদ্বেগ দেখিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
এফজিভি হোল্ডিংসের কাছ থেকে আমদানি স্থগিতের কারণ হিসেবে সিপিবি শ্রমিকদের ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতন, ঋণের বোঝা ও আপত্তিজনক নানা ধরনের শর্তের কথা তুলে ধরে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে এফজিভি জানায়, শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতির জন্য ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নিয়েছিল তারা।
সিবিপি বলছে, বছরব্যাপী তদন্তে দেখা গেছে সেখানে শ্রমিকদের চলাচলে সীমাবদ্ধতা, বিচ্ছিন্নতা, শারীরিক ও যৌন সহিংসতা, ভয় ও হুমকি প্রদর্শন চলে। এ ছাড়া পরিচয়পত্রের দলিল ধরে রাখা, মজুরি আটকে রাখা, ঋণের বোঝা, আপত্তিজনকভাবে কাজ করা এবং জীবনযাপনের নিম্নমান ও অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর মতো ঘটনা ঘটছে।

সিবিপির তদন্তে এফজিভির পাম তেল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাধ্যতামূলক শিশুশ্রম ব্যবহার করা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বার্ষিক মোট উৎপাদিত পাম তেলের ১৫ শতাংশই উৎপাদন করে এফজিভি। পাম তেল, মূলত খাদ্য পণ্য, প্রসাধনী, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং জৈব জ্বালানি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
সিবিপির অফিস অব ট্রেডের নির্বাহী সহকারী কমিশনার ব্রেন্ডা স্মিথ বলেন, এ জাতীয় পণ্য উৎপাদনে বাধ্য শ্রমের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে সংস্থাগুলো।
২০১৬ সাল থেকে আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার হার বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বাধ্যতামূলক শ্রম ব্যবহার করে উৎপাদনের বিরুদ্ধে সিবিপি ক্ষমতা বাড়িয়ে নতুন আইন নবায়নের পরই নিষেধাজ্ঞা বাড়তে থাকে।