যুক্তরাষ্ট্রে এক মাসে নতুন কর্মসংস্থান ৯ লাখ

মার্চে প্রায় নয় লাখ কর্মসংস্থান যুক্ত হয়েছে অর্থনীতিতে
ছবি: রয়টার্স

স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে মার্কিন অর্থনীতি। মার্চে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে অর্থনীতিতে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে নেওয়া নানা ধরনের বিধিনিষেধে শিথিলতা এসেছে। ফলে, চাকরিতে নিয়োগ বেড়েছে। লোকজন আবারও প্রাক-মহামারি কর্মকাণ্ডে ফিরে আসতে শুরু করেছে।

রেস্তোরাঁ, বার, নির্মাণ সাইট এবং স্কুল পুনরায় খুলে যাওয়ায় মার্চে প্রায় নয় লাখ কর্মসংস্থান যুক্ত হয়েছে অর্থনীতিতে, যা গত বছরের আগস্টের পর সর্বোচ্চ। আর এতে বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ৬ শতাংশ হয়েছে; যদিও সামগ্রিক কর্মসংস্থান এখনো কোভিড মহামারির তুলনায় অনেক কম।

অবশ্য করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা কমানো যাবে না। এ বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করছে সরকার। গত শুক্রবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সাবধানতা অবলম্বনের ক্ষেত্রে জনগণকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখনো টিকা দিতে পারেনি। বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থনীতির অনেক অংশ এখনো দুর্বল রয়েছে।

বাইডেন বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, যে অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি, আমরা যেন তা হারিয়ে না ফেলি। আমাদের এই কাজটি শেষ করতে হবে। আমাদের প্রতি নাগরিকদের বিষয়ে মাথা ঘামাতে হবে এবং তদারকি করতে হবে। এভাবেই আমরা ভাইরাসকে পরাজিত করব।’

করোনার কারণে নেওয়া লকডাউনের কারণে গত বছর দুই কোটিরও বেশি চাকরি হারিয়ে যায় দেশটিতে; যার অর্ধেকেরও বেশি পুনরুদ্ধার হয়েছে। মার্কিন শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এখনো ৪০ লাখ কর্মসংস্থান কম রয়েছে।

গত এক বছরে মহামারির অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া লোকজনকে তিন দফা নগদ অর্থ সহযোগিতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। আমেরিকার জনগণের আয়ের সীমা দেখে স্বল্প ও মধ্য আয়ের লোকজন ইতিমধ্যে জনপ্রতি ১ হাজার ৪০০ ডলার করে নগদ প্রণোদনা পেয়েছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসার কর্মীদের মজুরি প্রদানের জন্য সহযোগিতা ছাড়াও সহজ শর্তে ব্যাপক ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। ঋণের কিছু অংশ কখনো ফেরত না দেওয়ার শর্তে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরেক দফা প্রণোদনা সহযোগিতা দিতে বিশাল আকারের প্যাকেজ পাস হয়েছে।