যুক্তরাষ্ট্রের ইটের জবাবে পাটকেলটি মারছে চীন

ছবি: রয়টার্স

‘নিয়ন্ত্রিত পণ্য’ রপ্তানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে চীন। মূলত সামরিক প্রযুক্তি এবং যেসব পণ্য চীনের জাতীয় সুরক্ষার ক্ষতি করতে পারে, সেগুলো রপ্তানির ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধে জোর দেওয়া হয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ মঙ্গলবার কার্যকর হওয়া নতুন এই বিধিমালা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন শেষ মুহূর্তে এসে চীনের আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করছে। এগুলো হলো চীনের শীর্ষ চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএমআইসি এবং জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিএনওওসি। এ দুই প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহজনক চীনা সামরিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিরক্ষা দপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত করতে চাইছে মার্কিন প্রশাসন। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় নতুন এই সিদ্ধান্ত নিল চীন। এর আগে মার্কিন খড়্গের মুখে পড়ে চীনা প্রযুক্তি  প্রতিষ্ঠান টিকটিক, হুয়াওয়ে ও টেনসেন্ট ।

ছবি: রয়টার্স

রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন ‘নিয়ন্ত্রিত পণ্যের’ জন্য করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক, সামরিক পণ্য এবং নাগরিক এবং সামরিক—দুই উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে এমন পণ্য। এই আইনে এমন পণ্যগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা চীনের জাতীয় সুরক্ষা রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। নিয়ন্ত্রণ তালিকায় থাকা যেকোনো পণ্য রপ্তানি করতে হলে রপ্তানিকারকদের অবশ্যই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। নিয়ন্ত্রিত পণ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যও আইনের আওতায় থাকবে। নিয়ম ভাঙলে পণ্যের মূল্যের ১০ গুণ জরিমানা গুনতে হবে। বিধি ভাঙলে বিদেশি সংস্থা বা ব্যক্তির শাস্তিরও নিয়ম রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সংবেদনশীল প্রযুক্তির বিক্রয় সীমাবদ্ধ করতে এই নিয়ন্ত্রণ আনল চীন।

এদিকে নতুন এই আইনের কারণে ইতিমধ্যে বিরল মৃত্তিকা খনিজের দাম বেড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইনটি এসব পণ্যের রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে। চীন হলো বিশ্বের বৃহত্তম বিরল মৃত্তিকা খনিজের সরবরাহকারী। এটি ভোক্তা পর্যায়ের ইলেকট্রনিকস পণ্য থেকে শুরু করে স্মার্ট ফোন, উইন্ড টারবাইন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।