যেভাবে জেফ বেজোস পাল্টে ফেললেন বিশ্ব

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। ৫৭ বছর বয়সী জেফ বেজোস কেবল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীই নন, তাঁকে বলা যেতে পারে প্রযুক্তি নির্ভর এক বিশ্বের সূতিকাগার। যদিও গত মঙ্গলবার হঠাত করেই জেফ বেজোস ঘোষণা দিয়েছেন, আমাজন পরিচালনার প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি। তবে এর অর্থ এই নয় যে তার পথ চলা থেমে যাচ্ছে। সরে দাড়ানোর পেছনে কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘আমার শক্তি ও মনোযোগ নতুন পণ্য এবং নতুন উদ্যোগে খরচ করতে চাই।’ তিনি জানান এখন আমাজনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এবং ব্যক্তিগত প্রকল্পে মনোযোগ দেবেন তিনি।

এ টু জেড শপ:

জেফ বেজোসের চিন্তার শুরুটা তিন দশক আগে। সে সময় বেজোস সিদ্ধান্ত নেন তিনি অনলাইনে বই বিক্রি করবেন। অ্যামাজন ডটকম স্থাপন করবেন। তিনি চাইছিলেন এমন একটা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে যেখান থেকে বিশ্বের প্রতিটা মানুষ কিছু না কিছু পাবে। অর্থাৎ সবকিছু মিলবে এখানে। সে সময়ই তিনি তৈরি করে ফেলেন বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ মূল্যবান কোম্পানির ভিত্তি।

ভোক্তার জন্যই সব

মজার বিষয় হচ্ছে একদম প্রথম দিন থেকেই বেজোসের মাথায় যে বিষয়টি ছিল তিনি এমন কিছু করবেন যা ভোক্তার জীবনকে সহজ করবে। আর সেই লক্ষ্যে ডিভাইস নির্ভর প্রযুক্তি বেছে নিলেন তিনি। যার ফলে মানুষ তার হাতের মুঠোতে থাকা ফোনটা নিয়েই দ্রুত গতিতে কেনাকাটা করতে পারছে।

যে সেবার অগ্রদূত

অ্যামাজনই প্রথম এক্সপ্রেস ডেলিভারি পরিষেবা চালু করে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ কোটি মানুষ অ্যামাজনের প্রাইম সেবা বেছে নেয়। এর অর্থ হলো কোনো খরচ ছাড়া দুদিনের মধ্যে পণ্য পেয়ে যাওয়া। এখন বিশ্বজুড়ে অনলাইনের কেনাকাটায় এই ধরনের সার্ভিস দেওয়া হয়।

কর্মসংস্থানে ভূমিকা

বর্তমানে অ্যামাজন হলো যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম নিয়োগকর্তা কোম্পানিও তারা। ১০ লাখ কর্মী রয়েছে তাদের। বিশ্বে অবস্থান পঞ্চমে। করোনার সময় সেবা দেওয়ার জন্য আরও প্রায় ৫ লাখ লোক নিয়োগ দিয়েছিল অ্যামাজন।

প্রযুক্তিতে প্রভাব

কোম্পানি বড় হচ্ছে, আরও অনেক ধরনের ব্যবসায় নজর দিচ্ছে অ্যামাজন। যেমন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস। অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস এক ধরনের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম। ক্লাউড সার্ভিস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহক অন ডিমান্ড সার্ভার, ডেটাবেইস, কনটেন্ট ডেলিভারি, রাউটিং, লোড ব্যালেন্সিং সহ একটা লার্জ স্কেল অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য যা যা জরুরি সবই খুব সহজেই স্থাপন করতে পারেন।

বলা যেতে পারে এখন তো এ ধরনের অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাহলে অ্যামাজন কেন আলাদা। অ্যামাজন আলাদা এ কারণে যে তাদের শুরুটা হয়েছিল ২৭ বছর আগে। যখন এ রকম কিছু করার কথা কেউ ভাবেনি। সেই সঙ্গে এই এতটা সময় ধরে শীর্ষস্থান বজায় রাখা। সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস

আরও পড়ুন