শুধু বোনাস দিতেই এত!

বড়দিন উপলক্ষে কর্মীদের বেশ বড়সড় বোনাস দিচ্ছে ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজন। করোনা মহামারির এই সময়ে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক লাভ করেছে কোম্পানিটি। এতে কর্মীদের প্রতি ব্যাপক সন্তুষ্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। নিজের এই উপলব্ধি কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই দিচ্ছেন এই বোনাস। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আমাজনের যুক্তরাজ্যের পূর্ণকালীন কর্মীরা পাচ্ছেন ৩০০ পাউন্ড, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণকালীন কর্মীরা পাচ্ছেন ৩০০ ডলার। যুক্তরাজ্যের খণ্ডকালীন কর্মীরা পাবেন ১৫০ পাউন্ড, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীরা পাবেন ১৫০ ডলার। সব মিলিয়ে বোনাস দিতে আমাজনের ব্যয় হবে ৫০ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ হাজার ২৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

আগামী ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবাইকে এই বোনাস দিয়ে দেওয়া হবে। এক বিবৃতিতে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী বেজোস ‘গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান’ করায় কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

একটি ব্লগ পোস্টে আমাজন ওয়ার্ল্ডওয়াইড অপারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্লার্ক লেখেন, ‘আমরা আমাদের কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যাঁরা নিজ নিজ এলাকার সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। যেহেতু আমরা ছুটির মৌসুমে চলে এসেছি, আমরা আমাদের সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করে একটি স্বীকৃতি বোনাস দিতে চাই। এর মাধ্যমে আমাদের উপলব্ধি ভাগ করে নিতে চাই।’

করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে এতটা রমরমা হয় আমাজনের ব্যবসা। যেমন ফ্রান্সে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ধাক্কা খায় আমাজন। প্রথম লকডাউন চলার সময় দেশটিতে নিজেদের কয়েকটি গুদাম বন্ধ করে দিতে হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে। তবে মহামারি যত তীব্র হতে থাকে, মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার ওপর নির্ভর হতে শুরু করে। সংস্থাটি জানিয়েছিল, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে তারা। কর্মীদের মধ্যে ফেস মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি অফিস ভবনে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতাও বাড়ায় তারা। যুক্তরাজ্যে কর্মীদের কোভিড পরীক্ষার জন্য একটি পাইলট স্কিমও শুরু তারা।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমাজনের বিক্রি হয়েছে ৯৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের, ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে যা ৩৭ শতাংশ বেশি। মুনাফা হয়েছে রেকর্ড ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে কোনো ব্যয় না করেই এমন আয় হয়েছে—এতটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। আমাজন জানিয়েছে, এ সময়ে কোম্পানিটির কোভিড–সম্পর্কিত ব্যয় হয়েছে আড়াই বিলিয়ন ডলার।