সাংহাইয়ের কোভিড বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে

চীনে লকডাউনছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব-বাণিজ্যেও অন্যতম কেন্দ্র চীন। কিন্তু সেই দেশের বড় বড় কয়েকটি বন্দর ও শহরে দুই মাস ধরে চলছে লক ডাউন, কারণ দেশটি এখনো শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে আসেনি।  সেই সঙ্গে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসব কিছুর সম্মিলিত প্রভাব হিসেবে বিশ্ব সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

অবশ্য এর মধ্যে ব্যবসায়ীদের জন্য সুসংবাদ হলো, আগামীকাল বুধবার থেকে চীনের অন্যতম বৃহৎ বন্দর সাংহাই থেকে বেশ কিছু কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে। গত দুই মাসে ধরে এই বাণিজ্যিক কেন্দ্র কঠোর লক ডাউনে ছিল। খবর বিবিসির।

চীনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাই ২ কোটি ৫০ লাখ অধিবাসীর শহর। কভিডের প্রাদুর্ভাব বাড়ার কারণে শহরটিতে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এতে করে চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বহু মানুষের উপার্জন কমে যায়।

সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার থেকে জনজীবন আবার স্বাভাবিক হবে শহরটিতে। সাংহাইয়ের নগর কর্তৃপক্ষের এক মুখপাত্র ইন জিন জানান, বুধবার থেকে চীনের সব থেকে জনবহুল শহরটিতে প্রকাশ্যে চলাচলের জন্য কভিড পরীক্ষার নিয়ম শিথিল করা হবে। মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জনসম্মুখে চলাফেরা ও গণপরিবহন ব্যবহারের জন্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটি পিসিআর নেগেটিভ পরীক্ষিত হতে হবে। আগে এ সময় সীমা ছিল ৪৮ ঘণ্টা।

আগামীকাল বুধবার থেকে শহরের ২৪০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমোদন দিয়েছে নগর কর্মকর্তারা। এর আগে ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালু করার ছাড়পত্র পেয়েছে। লকডাউনের কারণে ১০ হাজারেরও বেশি ব্যাংকার ও ব্যবসায়ী এত দিন কার্যালয়ে ছিলেন। এখন তাঁরা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

এদিকে গতকাল থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের লাইব্রেরি, জাদুঘর, থিয়েটার ও জিম খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে কত মানুষ যেতে পারবেন, তা সীমিত করা হয়েছে। ফাংশান ও শুনি জেলায় ঘর থেকে কাজ আর চলবে না। এ জেলা দুটিসহ চাওইয়াং জেলায় গণপরিবহন আবারও চালু হবে। তবে বিধিনিষেধ শিথিল হতে শুরু করলেও রেস্তোরাঁগুলো খোলার বিষয়ে এখনো সরকারি ঘোষণা আসেনি।

বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে, তখন চীনের অনেক জায়গায় আবারও লক ডাউন দেওয়া হয়। কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তারা এই নীতি গ্রহণ করে। চীনের এই শূন্য কোভিড নীতির কারণে দেশটির অর্থনীতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সংকুচিত হবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। চীনের সংকোচনের কারণে তার অনেক বাণিজ্যিক অংশীদারের অর্থনীতিও সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।