১৩ দেশ থেকে কনজ্যুমার ব্যাংকিং গোটাচ্ছে সিটি ব্যাংক

বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিটি ব্যাংক। তবে একই সঙ্গে কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে তারা। ব্যাংকটির ভাষ্য, তারা এখন থেকে কনজ্যুমার ব্যাংকিং থেকে সরে গিয়ে ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট বা সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বেশি জোর দেবে। তবে কনজ্যুমার ব্যাংকিং একেবারে গুটিয়ে নিচ্ছে না। সিঙ্গাপুর, হংকং, লন্ডন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত-এখন থেকে তাদের কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ের মূল কেন্দ্র হবে এই চার বাজার।

ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, রাশিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বাজার থেকে কনজ্যুমার ব্যাংকিং কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে তারা।

মূলত এশিয়ার বাজার থেকেই কনজ্যুমার ব্যাংকিং গুটিয়ে নিচ্ছে সিটি ব্যাংক। ২০২০ সালে এই অঞ্চল থেকে তাদের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৯০ কোটি ডলার। এই অঞ্চলে তাদের শাখা আছে ২২৪টি এবং আমানত আছে ১২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার।

এই মার্চ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ এই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নিয়েছেন জেইন ফ্রেজার। তিনি বলেছেন, মূলত সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দ্বিগুণ গুরুত্ব দিতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মূলত এশিয়ার বাজার থেকেই কনজ্যুমার ব্যাংকিং গুটিয়ে নিচ্ছে সিটি ব্যাংক। ২০২০ সালে এই অঞ্চল থেকে তাদের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৯০ কোটি ডলার। এই অঞ্চলে তাদের শাখা আছে ২২৪টি এবং আমানত আছে ১২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার।
এ ছাড়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সিটি গ্রুপ ৭৯০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা তিন গুণ। তবে রাজস্ব আয় সাত শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার।

এসব বাজার ছাড়ার কারণ হিসেবে জেইন ফ্রেজার বলেছেন, এই বাজারগুলোতে প্রতিযোগিতা করার জন্য ব্যবসার যে ব্যাপ্তি দরকার, সেটা তাঁদের নেই। তবে এসব অঞ্চল থেকে কনজ্যুমার ব্যাংকিং গুটিয়ে নিলেও বিনিয়োগ ব্যাংকিং চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।