১৯ মাস পর বিদেশি পর্যটকদের অনুমতি দিচ্ছে ভারত

পর্যটকদের জন্য জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে তাজমহলের আশপাশ
ছবি: রয়টার্স

১৯ মাস পর পর্যটকদের জন্য দেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আজ শুক্রবার থেকে দেশটি চার্টার্ড ফ্লাইটে আসা ভ্রমণকারীদের পর্যটন ভিসা দেবে। এ ছাড়া আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে আসা পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রদানের সময়কাল আরও বাড়ানো হবে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মূলত করোনাভাইরাস সংক্রমণের দৈনিক হার কমে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে যাঁরা শুক্রবার ভারতে আসবেন, তাঁরা ১৯ মাসের মধ্যে প্রথম ভারতের মাটিতে পা রাখবেন।

করোনাভাইরাস মহামারিতে লাগাম টানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০২০ সালের মার্চে দেশের সীমানা বন্ধ করে দিলে দেশটিতে আর কোনো পর্যটক ভিসা জারি করা হয়নি। যদিও গত কয়েক মাসে কূটনীতিক ও উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তাদের জন্য এ নিয়ম শিথিল করা হয়।

চলতি মাসের শুরুতে বিদেশি পর্যটকদের ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। দেশটিতে বর্তমানে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার, যা এপ্রিল ও মে মাসে ভাইরাসটির দ্বিতীয় তরঙ্গের ভয়াবহতার সময় ছিল ৪ লাখ। দেশটির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

তবে বিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যটন খুলে দিলেও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলো কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের ‘সুপার স্প্রেডার’ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তবে পর্যটকদের আবার ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়ায় দেশটির ভুগতে থাকা এ খাত পুনরুজ্জীবিত হবে বলেই আশা করছেন তাঁরা। সরকারি তথ্যানুসারে, গত বছর ভারত মাত্র ২৭ লাখ ৪০ হাজার পর্যটক আকর্ষণ করেছিল, যা ২০১৯ সালে ছিল ১ কোটি ৯ লাখ। মহামারির কারণে এ খাতের ব্যবসা বন্ধ হয়ে ছিল।

ভারতের মোট জিডিপির ৭ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। সেই সঙ্গে দেশটির লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানও নির্ভর করে এ খাতের ওপর। সম্প্রতিক সময়ে মহামারির আঘাতে ভারত সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

নতুন বিধিমালার অধীন ১৫ অক্টোবরের আগে ইস্যু করা সব পর্যটন ভিসা বাতিল হবে। অর্থাৎ ভারত ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের অবশ্যই নতুন ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তবে করোনার টিকা নেওয়া বা কোয়ারেন্টিন বা করোনা পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।