ভবিষ্য তহবিলের মুনাফার ওপর কর কমতে পারে 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যালয়
ফাইল ছবি

অবশেষে বেসরকারি চাকরিজীবীদের ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) ও আনুতোষিক তহবিলের (গ্র্যাচুইটি ফান্ড) আয়ের ওপর থেকে কর কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি এ দুই তহবিলের মুনাফার ওপর করহার কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। নতুন আয়কর আইনে তহবিল দুটির ওপর সাড়ে ২৭ শতাংশ কর বসানোর বিধান রাখা হয়েছে।

এনবিআর ভবিষ্য ও আনুতোষিক তহবিলের ওপর করহার কমানোর বিষয়ে গত মাসে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করবে এনবিআর এবং তা চলতি সপ্তাহেই হতে পারে। তবে এ দুই তহবিলের মুনাফার ওপর উৎসে কর কেটে রাখার বিধান অব্যাহত থাকবে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

এনবিআরের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, ভবিষ্য তহবিল ও আনুতোষিক তহবিল গঠনের মাধ্যমে চাকরিজীবীদের সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা হয়। এতে তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র তৈরি হয়, যা দেশের মোট সঞ্চয় বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ধরনের তহবিলের আয়ের ওপর করহার সাড়ে ২৭ শতাংশের স্থলে ১৫ শতাংশ করা হলে বেসরকারি চাকরিজীবীদের করভার লাঘব হবে।

নতুন আয়কর আইনে ট্রাস্ট ও তহবিলের আয়ের ওপর সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে করপোরেট কর বসানোর বিধান করা হয়েছে। আগের আইনে সমজাতীয় ধারায় শুধু ব্যক্তিসংঘ, আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তি এবং অন্যান্য করারোপযোগ্য সত্তার ওপর সাড়ে ২৭ শতাংশ করপোরেট কর বসত। নতুন আইনে দুটি খাত (ভবিষ্য ও আনুতোষিক তহবিল) যুক্ত করা হয়।

নতুন আইন করার পর থেকে বেসরকারি চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কারণ, এতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার পরিমাণ কমে যাওয়ার কথা। এমন প্রেক্ষাপটে গত ৩ অক্টোবর মেট্রোপলিটন চেম্বার এবং বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশন এসব তহবিলের ওপর কর কমানোর প্রস্তাব করে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে চিঠি দেয়। এরপরই এনবিআর অর্থমন্ত্রীকে কর কমানোর প্রস্তাব পাঠায়।

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তবে বেসরকারি খাতে কত লোক চাকরি করেন, এর সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে এই সংখ্যা এক কোটির কম নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর ধারণা।