চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি বেড়েছে ১৮%
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
এর মধ্যে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানিতে। চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই পণ্য রপ্তানিতে ১৮ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল সোমবার রপ্তানির হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর শেষে চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) যা ছিল ২১ কোটি ২৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ইপিবি বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরে চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ কোটি ৩৭ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে বছরের প্রথম ছয় মাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের পুরো সময়ে চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫২ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগামী ৬ মাসে আরও ২৭ কোটি ডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হলে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জিত হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশে তৈরি চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি বেড়েছে। দেশেও এর ভালো বাজার আছে। ৫ বছর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ ধরনের জুতার রপ্তানি ছিল ২৪ দশমিক ৪০ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ আর গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বর্তমান বিশ্বে বার্ষিক জুতার বাজার ৩৮ হাজার ১০০ কোটি ডলারের। ২০২৭ সালে তা ৫০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে চামড়াবিহীন জুতার পরিমাণই বেশি। করোনার পর অনেক বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান জুতার ক্রয়াদেশ নিয়ে ঘুরেছে। তবে সেই ক্রয়াদেশ নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কারখানা না থাকায় সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার ও স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর বিশ্ববাজার ঘুরে দাঁড়ায়। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে জুতার উৎপাদন বেড়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে গত বছর ২ হাজার ২০০ কোটি জোড়া জুতা উৎপাদিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। তার মধ্যে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ২৯৩ কোটি জোড়া জুতা। আর রপ্তানি হওয়া জুতার প্রায় ৬৮ শতাংশ চামড়াবিহীন।