গৌতম আদানি প্রতি সপ্তাহে ৩ হাজার কোটি রুপির সম্পদ হারিয়েছেন

গৌতম আদানি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

গত বছর প্রতি সপ্তাহে তিন হাজার কোটি রুপি করে সম্পদ হারিয়েছেন ভারতের আলোচিত ধনী গৌতম আদানি। এতে সব মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ নেমে এসেছে ৫ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারে। আজ প্রকাশিত এমথ্রিএম হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট বা ধনীর তালিকায় এসব তথ্য জানা গেছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের

আবাসন ও রিয়েলিটি ফার্ম এমথ্রিএম এবং গবেষণা ও বিলাসবহুল প্রকাশনা গোষ্ঠী হুরুন ইন্ডিয়া যৌথভাবে শীর্ষ ধনীর এই তালিকা প্রকাশ করেছে।

হুরুন গ্লোবালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ বা ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছে আদানি গ্রুপ। হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন আদানি। ইকোনমিক টাইমস বলছে, বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনীর অবস্থান থেকে নেমে পৌঁছেছেন ২৩তম অবস্থানে।

আদানির পাশাপাশি ভারতের আরও কয়েকজন শীর্ষ ধনীর সম্পদের তথ্যও জানিয়েছে এমথ্রিএম হুরুন গ্লোবাল। যেমন রিলায়েন্সের মালিক মুকেশ আম্বানি। হুরুন গ্লোবাল বলছে, গত এক বছরে মুকেশ আম্বানি ২০ শতাংশের বেশি সম্পদ হারিয়েছেন। আম্বানি বর্তমানে বিশ্বের নবম শীর্ষ ধনী।

রিটেইল চেইনশপ অ্যাভিনিউ সুপারমার্টসের মালিক ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী ভারতের আরেক শীর্ষ ধনী রাধাকিশান দামানি। হুরুন গ্লোবাল বলছে, দামানি ও তাঁর পরিবারের সম্পদ গত এক বছরে ৩০ শতাংশ কমেছে। তাতে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। দামানির মোট সম্পদের মূল্য এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) উদয় কোটকের মোট সম্পদ ১৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। বিশ্বে শীর্ষ ধনীর তালিকায় তাঁর অবস্থান ১৩৫তম।

অন্যদিকে ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সাইরাস পুনাওয়ালার সম্পদ ৪ শতাংশ বেড়েছে। ভারতে ‘ভ্যাকসিন রাজা’ নামে পরিচিত এই ধনীর সম্পদ বেড়ে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার হয়েছে।

হুরুন গ্লোবালের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ভারতের ১৮৭ জন ধনী স্থান পেয়েছেন। তাতে সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের অবস্থান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী শতকোটিপতি বা বিলিয়নেয়ারের তালিকায় ভারতের অবস্থান ক্রমাগত ওপরে উঠছে। বর্তমানে বিশ্বের মোট শতকোটিপতির ৮ শতাংশ ভারতের। পাঁচ বছর আগেও যা ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

তবে ২০২৩ সালে হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্টে গত বছরের তুলনায় শতকোটিপতির সংখ্যা ৮ শতাংশ কমেছে। আর তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ কমেছে ১০ শতাংশের মতো।

হুরুনের তালিকায় ১ হাজার ৭৮ জন শতকোটিপতির সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে ১৭৬ জন নতুন মুখ। আর গত বছরে তালিকায় থাকা ২ হাজার ৪৭৯ জনের সম্পদ কমতে বা একই থাকতে দেখা গেছে। এর মধ্যে ৪৪৫ জন এ বছরের তালিকা থেকে বাদ গেছেন।