ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমেছে ৬৪%

জিরা
ফাইল ছবি

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি ৬৪ শতাংশ কমে গেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এ বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছিল ৯৭৯ টন জিরা। আর চলতি অর্থবছরে একসময়ে আমদানি হয়েছে মাত্র ৩৫৩ টন। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে জিরা আমদানি কমেছে ৬২৬ টন বা প্রায় ৬৪ শতাংশ।

ভোমরা স্থলবন্দরকেন্দ্রিক আমদানিকারকেরা বলছেন, দেশের বাজারে জিরার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তাতে কমেছে জিরার চাহিদা। এ কারণে আমদানিও কমে গেছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে আমদানি করা ভালো মানের জিরার কেজি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এ বছর আগে আমদানি করা প্রতি কেজি জিরার দাম ছিল ৫০০ থেকে ৫৭০ টাকা।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব হোসেন প্রথম আলোকে জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বন্দর দিয়ে ১২ কোটি ২০ লাখ টাকার (আমদানি মূল্য) ৩৫৩ টন জিরা আমদানি হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি কেজি জিরার আমদানি মূল্য পড়েছে ৩৪৫ টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ৯৭৯ টন জিরা। ওই সময় প্রতি কেজির আমদানি মূল্য ছিল ১৭৯ টাকা।

সাতক্ষীরার বড় বাজারের জয়কালী ট্রেডার্সের মালিক রামপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, বাজারে গত এক বছরের জিরার দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা কমে গেছে। আগে যে ভোক্তা মাসে ৫০০ গ্রাম জিরা কিনতেন, এখন তিনি কিনছেন ১০০-২০০ গ্রাম।

জেলার কালীগঞ্জ বাঁশতলা মোকামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নব স্টোরের স্বত্বাধিকারী নব দত্ত বলেন, ‘গত বছর এ সময় প্রতি কেজি জিরা মানভেদে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন বিক্রি করছি ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।’

সাতক্ষীরার ভোমর স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদ খান বলেন, ‘গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ভারতেও জিরার দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ফলে সরকারি শুল্কসহ প্রতি কেজি জিরা আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ৯০০ টাকা। দেশেও দাম বাড়তি। সব মিলিয়ে তাই আমদানি কমে গেছে।