‘সুপারব্র্যান্ডস’ স্বীকৃতি পেল আবুল খায়ের গ্রুপের ছয়টি ব্র্যান্ড
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী আবুল খায়ের গ্রুপ আবারও প্রতিষ্ঠিত করল ব্র্যান্ড উৎকর্ষতার এক অনন্য নজির। গ্রুপটির ছয়টি ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড অর্জন করেছে মর্যাদাপূর্ণ ‘সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫-২৬’ সম্মাননা।
স্বীকৃতি পাওয়া ব্র্যান্ডগুলো হলো শাহ্ সিমেন্ট, একেএস (আবুল খায়ের স্টিল), কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিল, মার্কস ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার, সিলন চা এবং স্টেলা।
এর মধ্যে শাহ্ সিমেন্ট ও একেএস টানা চতুর্থবার এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিল টানা তৃতীয়বারের মতো অর্জন করেছে এ সম্মাননা। সম্প্রতি রাজধানীর লো মেরিডিয়েন হোটেলে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ এ সম্মাননা ঘোষণা করে। এতে দেশের শীর্ষ করপোরেট ব্যক্তিত্ব, সিনিয়র নির্বাহী, মার্কেটার এবং ইন্ডাস্ট্রি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ অর্জন আবুল খায়ের গ্রুপের গুণগত মান, উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা ও গ্রাহক আস্থার প্রতি অঙ্গীকারকে আরও সুসংহত করেছে উল্লেখ করে আবুল খায়ের গ্রুপের ব্র্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর নওশাদ চৌধুরী বলেন, ‘ছয়টি ব্র্যান্ড সুপারব্র্যান্ডস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের গ্রাহকদের আস্থার প্রতিফলন। এই সম্মাননা আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি, যা ভোক্তা ও অংশীদারদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।’
১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আবুল খায়ের গ্রুপ ভোক্তা ও দেশের প্রতি দায়িত্বশীল অঙ্গীকারের ধারাবাহিকতায় আজ দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। ভোক্তাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে স্টিল, সিমেন্ট, রেডিমিক্স কংক্রিট, ঢেউটিন, ভোগ্যপণ্য, দুগ্ধজাত পণ্য, চা, কফি, চকলেট, বেবিফুড, পানীয় ও স্যানিটারি ওয়্যারসহ বিভিন্ন খাতে কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাহ্ সিমেন্ট, একেএস, কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিল, মার্কস, স্টেলা এবং সিলনসহ আবুল খায়ের গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ডগুলো দেশের কোটি কোটি ভোক্তার আস্থা অর্জন করেছে।
একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছয়টি ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পাওয়ায় আবুল খায়ের গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড লিগ্যাল বিভাগের প্রধান শেখ শাবাব আহমেদ বলেন, ‘শুধু মানসম্মত পণ্য উৎপাদনেই নয়, বরং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার, শক্তি ও পানি সাশ্রয় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই ও দায়িত্বশীল শিল্পচর্চা গড়ে তুলতেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাধীন ব্র্যান্ড মূল্যায়ন সংস্থা। এটি এমন ব্র্যান্ডগুলোকে স্বীকৃতি দেয়, যারা নিজ নিজ খাতে সর্বোচ্চ সুনাম প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৯০টি দেশে ৪৫ হাজারের বেশি ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশে এবারে আয়োজনটির পঞ্চম আসর ছিল।