অচল হওয়ার পথে চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস, রপ্তানি পণ্য জাহাজে বোঝাই এবং দুটি জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর অজ রোববার ভোর রাত থেকে পর্যায়ক্রমে বন্দরের এসব কার্যক্রম বন্ধ হতে থাকে। ফলে বন্দর অচল হয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলে রপ্তানি পণ্য যেমন বন্দরে আনা যাবে না, তেমনি আমদানি পণ্য বন্দর থেকে নেওয়া যাবে না। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানি খাত। সময়মতো পণ্য রপ্তানি না হলে পোশাক খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বন্দর পরিবহন বিভাগের পরিচালক গোলাম ছরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানি পণ্য না আসায় যেসব জাহাজ বন্দর ছেড়ে যাবে সেগুলোতে খালি কনটেইনার বোঝাই করা হচ্ছে। ট্রাক না থাকায় দুটি জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করলে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভোররাতে বন্দরে সাধারণ পণ্যবাহী দুটি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। এই দুটি জাহাজে রড তৈরির কাঁচামাল বাতিল লোহার টুকরা ও সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার রয়েছে। এসব পণ্য জাহাজ থেকে সরাসরি ট্রাকে বোঝাই করে খালাস করা হয়। কিন্তু পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে ঢোকতে না পারায় পণ্য খালাসও বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ট্রাক না থাকায় আরও দুটি জাহাজে পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে।

সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ ছাড়া কনটেইনারবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাস স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রপ্তানি পণ্য বন্দরে আনা যাচ্ছে না। ফলে নতুন করে ডিপো থেকে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ি প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, মালিক পক্ষের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কোনো ঘোষণা ছাড়াই শ্রমিকেরা গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বেসরকারি ডিপোতে রপ্তানি পণ্য আটকা পড়েছে।

বেসরকারি ডিপো মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানি পণ্য সবচেয়ে স্পর্শকাতর। সময়মতো যাতে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করা যায় সে জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিক সমিতির বন্দর ও জাহাজীকরণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রপ্তানি পণ্য আটকা পড়লে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পোশাক খাত। কারণ নির্ধারতি জাহাজে রপ্তানি পণ্য বোঝাই করতে না পারলে বিদেশি ক্রেতা সময়মতো পণ্য হাতে পাবে না। এতে মূল্য ছাড় দিতে হয়।