চিনি রপ্তানির সীমা বেঁধে দিতে পারে ভারত
এবার চিনি রপ্তানির সীমা বেঁধে দিতে যাচ্ছে ভারত। আগামী অক্টোবর থেকে চিনি রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশটি এ সীমা আরোপ করতে পারে। অভ্যন্তরীণ সরবরাহব্যবস্থা ঠিক রাখতে ও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে দেশটির শিল্প ও সরকারি সূত্রে জানা গেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত আগামী অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর মৌসুমে চিনি রপ্তানির সীমা ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টনের মধ্যে বেঁধে দিতে পারে। শেষ পর্যন্ত যদি এ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়, তবে তা হবে চলতি মৌসুমের রপ্তানির চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ কম। তবে এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছর বিশ্বব্যাপী চিনির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্রাজিলে উৎপাদন কমে যাওয়া। ব্রাজিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিনি উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ। এদিকে অপরিশোধিত তেলের দাম বেশ কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে এবার। অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনিকলগুলো ইথানল তৈরিতে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে। তবে ব্রাজিল চিনি উৎপাদনে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চাচ্ছে। তারপরও ভারত যদি রপ্তানিতে সীমা আরোপ করে দেয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম না কমে উল্টো বেড়ে যেতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন। এ অবস্থায় বাজারের যেকোনো ধরনের ভীতি দূর করতে ভারতের চিনি রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত বলে মনে করেন ভারত সরকারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এ কথা বলেন। তবে রপ্তানিতে সীমা আরোপের আগে ভারত সরকার বর্ষা মৌসুমের উৎপাদন পরিস্থিতি দেখতে চায়, অর্থাৎ উৎপাদন পরিস্থিতি বিবেচনা করেই রপ্তানির ওপর সীমা বেঁধে দিতে চায় ভারত সরকার।