অপসারিত হচ্ছেন শেয়ারবাজারের ৯ কোম্পানির ১৭ পরিচালক

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থতার কারণে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানির ১৭ জন পরিচালককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বৃহস্পতিবার এসব পরিচালককে অপসারণ–সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী রোববার পরিচালকদের অপসারণ–সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছে পাঠানো হবে।
জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম আদেশে সই করার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।  
তবে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যে ৯টি কোম্পানির ১৭ পরিচালককে অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি), ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ, ইনটেক লিমিটেড, মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইনস্যুরেন্স ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।

সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় এসব পরিচালককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পর ২০১১ সালের নভেম্বরে তৎকালীন পুনর্গঠিত কমিশন ন্যূনতম শেয়ার ধারণের আইন করে। কিন্তু আইন লঙ্ঘন করে অনেকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ না করেও পরিচালক পদে বহাল থাকেন।
এ অবস্থায় গত মে মাসে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসি পুনর্গঠনের পর নতুন করে আইনটি পরিপালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ পরিচালকদের ৪৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে গত ২ জুলাই ২২ কোম্পানির ৬১ পরিচালককে চিঠি দেয় বিএসইসি। বেঁধে দেওয়া সেই ৪৫ দিনের সময়সীমা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এরপরই আইন পরিপালনে ব্যর্থ পরিচালকদের অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, শুরুতে ন্যূনতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ যে ৬১ পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাজার থেকে শেয়ার কিনে আইন পরিপালন করেছেন। ১৯ জন পরিচালক শেয়ার কিনতে না পারায় পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু বাকি ১৭ জন শেয়ারও কেনেননি, আবার পদেও রয়ে গেছেন। তাই এসব পরিচালককে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পরিচালকদের এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ ছাড়াও উদ্যোক্তা–পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের আলটিমেটাম দিয়ে আলাদা চিঠি দেয় বিএসইসি। এর মধ্যে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের আলটিমেটাম শেষ হলেও ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণসংক্রান্ত আলটিমেটাম এখনো শেষ হয়নি।