আঞ্চলিক যোগাযোগের কেন্দ্রে বাংলাদেশ

এক দশক আগে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের আলোচনার কেন্দ্রে আছে বাংলাদেশ।

এক দশক ধরে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি সহজে পণ্য পরিবহনে নৌ, সড়ক, রেল ও আকাশপথে নতুন নতুন রুট চালু হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে চার দেশীয় এই আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার কেন্দ্রে আছে বাংলাদেশ। দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয়—প্রায় সব পথেই বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে নৌ ও সড়কপথে ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ। পণ্য আনা-নেওয়া করতে ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দরও খুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত বর্তমান সরকার প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরই ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধির আলোচনা শুরু হয়।

২০১১ সাল থেকে আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে বিশেষ সুবিধায় ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্র নেওয়ার পর এই পথে নিয়মিতভাবে ট্রানজিট নিতে আগ্রহ দেখায় ভারত। মাশুল নিয়ে ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পথ চালু করা হয়। পরে নৌ, সড়ক, সমুদ্রপথে দুই দেশের মধ্যে নতুন নতুন বাণিজ্যপথ চালু হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে অবাধ যান চলাচল চুক্তিও হয়ে গেছে।

আবার মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে সরাসরি যাত্রী পরিবহনেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কয়েকটি পথ চালু হয়েছে। যেমন রেলে খুলনা-কলকাতা; বাসে ঢাকা-আগরতলা; ঢাকা-গুয়াহাটি বিমান চলাচল। এ মাসেই ঢাকা-শিলিগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর কথা আছে। বাংলাদেশ থেকে ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি পণ্য ও যাত্রী পরিবহন যোগাযোগ চালুর আলোচনাও চূড়ান্ত পর্যায়ে। ঢাকা-শিলিগুড়ি-গ্যাংটক এবং ঢাকা-কাঠমান্ডু পথে বাস পরীক্ষামূলক চলাচলও হয়ে গেছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, গত এক দশকে ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর আন্তযোগাযোগ সংক্রান্ত কিছু চুক্তি ও অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে। এগুলো ইতিবাচক পদক্ষেপ। পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।তাঁর মত হলো, পরিবহন যোগাযোগের সমান্তরালে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং শুল্ক-অশুল্ক বাধা দূর করে বাণিজ্য সহজ করতে হবে। তাহলে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টসহ আঞ্চলিক যোগাযোগের পূর্ণ সফলতা পাওয়া যাবে। তিনি আরও মনে করেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সহজেই সীমান্ত পার হয়ে নির্বিঘ্নে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে পারলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তদেশীয় যোগাযোগ বাড়ানো হলে কোন দেশ কতটা উপকার পাবে, তা নিয়ে গবেষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। ৯ মার্চ প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহনব্যবস্থা চালু করতে পারলে বাংলাদেশের জাতীয় আয় ১৭ শতাংশ বেড়ে যাবে। আর ভারতের জাতীয় আয় বাড়বে ৮ শতাংশ। ঢাকা জেলায় প্রকৃত আয় ৬৭ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম জেলায় ৫৯ শতাংশ বাড়বে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা এবং পশ্চিমের কিছু জেলার প্রকৃত আয় ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়বে। দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচল নিশ্চিত করতে পারলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ৩০০ শতাংশ বাড়তে পারে।

আশা দেখাচ্ছে মৈত্রী সেতু

৮ মার্চ বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাবরুম এলাকায় সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। এই সেতুকে এখন দক্ষিণ এশিয়ার পূর্ব দিকের ‘গেটওয়ে’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারণ, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে সহজে আসাম, ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে সহজে পণ্য আনা-নেওয়া করা হবে।

ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশের মৌলভীবাজার বরাবর সীমান্তের ওপারে আসামের করিমগঞ্জের ধর্মনগর পর্যন্ত রেলপথ ছিল। ২০১৫ সালের দিকে আসামের করিমগঞ্জের ধর্মনগর থেকে ত্রিপুরার আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এখন আগরতলা থেকে আরও দক্ষিণে সাবরুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রেলপথ চালু হলে ত্রিপুরার সাবরুম থেকে আগরতলা হয়ে আসামের গুয়াহাটি রেলপথ পর্যন্ত রেলে পণ্য যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে। সেখান থেকে একটি রেলপথ নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে কলকাতা এসেছে। আরেকটি রেলপথ গুয়াহাটি থেকে অরুণাচলের নিকটবর্তী সীমান্ত শহর ডিব্রুগড় পর্যন্ত গেছে।

এই রেলপথই এখন আসাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মিজোরামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের অর্থনৈতিক করিডর বা প্রাণশক্তি (লাইফলাইন) হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি সড়কপথ তো আছেই। খাগড়াছড়ির রামগড় মৈত্রী সেতু দিয়ে সাবরুমের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সীতাকুণ্ড, মিরসরাই হয়ে মাত্র ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সড়কপথে ত্রিপুরার সাবরুম চলে যাবে পণ্যের চালান।

নতুন নতুন নৌপথ খুলছে

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অন্তত চারটি নতুন নৌপথ চালু হয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্রানজিট এবং তিনটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পথ। কলকাতা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে এবং আশুগঞ্জ থেকে সড়কপথে আখাউড়া হয়ে আগরতলা—এই পথটি মূলত ট্রানজিট পথ। এ পথে গেছে ত্রিপুরায় রেলপথ নির্মাণের পাথর ও লোহার চালান।
গত নভেম্বর মাসে আরেকটি পথে ট্রানজিট পণ্য আনা-নেওয়া শুরু হয়েছে। সেটি হলো আসামের করিমগঞ্জ থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ হয়ে আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে এবং পরে সড়কপথে আগরতলা। আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে এই পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার টন পণ্য ভারতে গেছে। ইতিমধ্যে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জেটি ও গুদামঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার সড়কপথ চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।

নৌপথে দাউদকান্দি থেকে গোমতী নদী দিয়ে কুমিল্লা হয়ে ত্রিপুরার সিপাইজলা জেলার সোনামুড়া পর্যন্ত নৌপথে; পরে সেখান থেকে সড়কপথে আগরতলা—এই পথ গত আগস্ট মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। এটি করা হয়েছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য। এই পথে নাব্যতা-সংকট আছে। বাংলাদেশ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এখন সমীক্ষা করছে, কোথায় কেমন নাব্যতা-সংকট আছে। শিগগির নাব্যতা-সংকট দূর করতে খননকাজ শুরু করবে বিআইডব্লিউটিএ। এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে কুড়িগ্রাম ও আসামের ধুবড়ির মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

এই পথে বড় বড় পাথর আনা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্য চলাচলের অনুমোদন দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এখন শুল্ক বিভাগের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছে।

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কম। তাই গত কয়েক বছরে ভারতের সঙ্গে একাধিক নৌপথ চালু করা হয়েছে। এই নৌপথগুলো পুরোদমে চালু হলে উত্তর-পূর্ব ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশ থেকে নৌপথে দ্রুততম সময়ে কম খরচে পণ্য নিতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তিনি জানান, ইতিমধ্যে জকিগঞ্জ নৌপথে খনন চলছে। গোমতীসহ অন্য নদীপথের খনন ও রাত্রিকালীন চলাচলের জন্য উপযোগী করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নৌপথে পণ্য পরিবহন বেড়েছে

১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকলের আওতায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যও হয়। চার বছরের ব্যবধানে দুই দেশের মধ্যে এক লাখ টনের বেশি পণ্য পরিবহন বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সব মিলিয়ে নৌপথে আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ২৬ লাখ ৬ হাজার টনের মতো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ লাখ ২ হাজার টন। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৩ লাখ ৬ হাজার টন। অবশ্য করোনার কারণে তিন মাসের মতো নৌপথগুলো বন্ধ ছিল।

২০১৯ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনা-চাঁদপুর-নগরবাড়ী-সিরাজগঞ্জ-কুড়িগ্রাম হয়ে আসামের গুয়াহাটি পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে। দুটি ভারতীয় জাহাজ ও একটি বাংলাদেশের জাহাজ প্রতিষ্ঠান যাত্রী পরিবহন করছে। তবে যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি নিয়মিত নয় বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার শুরু

২০১৮ সালের নভেম্বরে দিল্লিতে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। পরের বছরের অক্টোবর মাসে এ পথে পণ্য পরিবহন পদ্ধতি নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড অব প্রসিডিউর (এসওপি) সই হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে একটি পরীক্ষামূলক চালান নেয় ভারত। ইস্পাত ও ভোগ্যপণ্যের চার কনটেইনারের একটি চালান জাহাজে করে কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এবং পরে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ও আখাউড়া হয়ে আগরতলায় যায়। চট্টগ্রাম ব্যবহার করে পণ্য আনা-নেওয়ার বিষয়টি এখন নিয়মিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য খালাস হয়ে রেল ও সড়ক—দুই পথেই ত্রিপুরায় যাবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে কুমিল্লা হয়ে কসবার গঙ্গাসাগর এলাকা দিয়ে আগরতলায় চলে যাবে পণ্যের চালান। গঙ্গাসাগর এলাকা থেকে আগরতলা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে। সড়কপথে রামগড়-সাবরুম মৈত্রী সেতুর পাশাপাশি কুমিল্লার বিবিরবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া দিয়েও পণ্য নিতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

এক সূত্রে ঢাকা-কলকাতা-কাঠমান্ডু-থিম্পু

মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য পরিবহন সহজ করতে ছয়-সাত বছর আগে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে একযোগে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা বিবিআইএন নামে পরিচিত। বিবিআইএনের আওতায় ২০১৫ সালের জুন মাসে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে চার দেশের মধ্যে অবাধ মোটরযান চলাচল চুক্তি হয়। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কায় ভুটানের সংসদের উচ্চকক্ষ এখনো চুক্তিটি অনুমোদন দেয়নি। আপাতত ভুটানকে বাদ দিয়েই অবাধ যান চলাচল চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে সড়কপথে পরীক্ষামূলক চালানে কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে আখাউড়া দিয়ে আগরতলা যায় ভোডাফোন কোম্পানির যন্ত্রাংশের চালান। সম্প্রতি নেপাল ও ভুটানকে নিজেদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নেপাল ও ভুটান দীর্ঘদিন ধরে মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ চেয়ে আসছিল। সেটিও এখন সহজ হবে। এ ছাড়া ভুটানকে ইতিমধ্যে সৈয়দপুর বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।

বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আন্তযোগাযোগ বাড়লে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। এ জন্য অবকাঠামো তৈরির পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ভারতে রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। নৌপথে নাব্যতা-সংকট দূর করার পাশাপাশি বন্দরসুবিধাও বাড়ানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাণিজ্য সহায়তার সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে।