আবারও সুখবর পেলেন রপ্তানিকারকেরা

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সুদের হার আবারও কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে এই তহবিলের ঋণে ২ শতাংশ সুদ দিতে হতো, এখন তা কমিয়ে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন ঋণেই শুধু এ সুদহার কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে সুদ হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই তহবিল থেকে সাধারণত পোশাক খাত, চামড়াজাত ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিকারকেরা ঋণ নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতেও এই তহবিল থেকে ঋণ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, এটা রপ্তানিকারকদের জন্য সুখবর। এর ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের ওপর থেকে সুদের চাপ কমবে। তবে এই সুদ আরও কমানোর সুযোগ আছে।

আরও পড়ুন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে ইডিএফের সুদহার গ্রাহকদের জন্য ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ সুদের মধ্যে ব্যাংকগুলো ৭৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরিশোধ করবে, আর বাকি ১ শতাংশ ব্যাংকগুলো নেবে। নির্দেশনার পরই নতুন এই সুদ কার্যকর হয়েছে। তবে পুরোনো ঋণে সুদ আগের মতোই থাকবে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন এমনিতেই বাজার খারাপ। এই সময়ে সুদহার কমানোর ঘোষণা পুরো খাতের জন্য ভালো খবর। এর ফলে প্লাস্টিক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে।’

এটা রপ্তানিকারকদের জন্য সুখবর। এর ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের ওপর থেকে সুদের চাপ কমবে। তবে এই সুদ আরও কমানোর সুযোগ আছে।
মোহাম্মদ হাতেম, প্রথম সহসভাপতি, বিকেএমইএ

করোনাভাইরাসের কারণে গত এপ্রিলে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলার করা হয়। সেই সঙ্গে সুদহার কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছিল। এ ছাড়া বিজিএমইএ ও বিটিএমএর সদস্য প্রতিষ্ঠানের ঋণসীমা বাড়িয়ে আড়াই কোটি থেকে তিন কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। পাশাপাশি রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসনের সময় ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে বস্ত্র খাতের জন্য ২১০ দিন করা হয়েছিল।
রপ্তানিকারকদের সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে রিজার্ভের অর্থ দিয়ে ইডিএফ চালু করা হয়।