আয়-ব্যয়

ঘাটতি অর্থায়ন

বড় বাজেট মানে বড় ঘাটতি৷ অর্থমন্ত্রীকে সেই পথেই হাঁটতে হলো৷ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি অর্থায়ন করতে হবে ৬১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা৷ মানে এই পরিমাণ অর্থ দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে৷ আবার এর অর্ধেকটাই ব্যাংকব্যবস্থা থেকে৷ বিরাট অঙ্কের ব্যাংকঋণ নেওয়ায় বেসরকারি খাতের ঋণ পাওয়ার সুযোগ সংকুচিত হবে৷

টাকা জোগাড়
কখনোই পুরো বাজেট বাস্তবায়িত হয় না৷ তাই লক্ষ্যমাত্রার পুরো অর্থ শেষ পর্যন্ত জোগাড় করতে হয় না৷ সম্ভবত মনে মনে এটাই স্বস্তি ভেবে নিয়ে অর্থমন্ত্রী এক লাখ ৫৫ হাজার ২৯২ কোটি টাকার কর আদায়ের লক্ষ্য ধার্য করেছেন৷ এর মধ্যে এনবিআরকে আদায় করতে হবে এক লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা৷ এই লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশ আসতে হবে আয়কর ও মুনাফার ওপর কর থেকে৷

যেখানে টাকা যাবে
অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, তিনি টাকা খরচের যে পরিকল্পনা করেছেন, তা একদিকে প্রবৃদ্ধির সহায়ক হবে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতিকে বশে রাখবে৷ তবে মোট ব্যয়ের ১২ শতাংশের বেশি তাঁকে খরচ করতে হবে সুদ পরিশোধে৷ অঙ্কের হিসাবে শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ দেওয়া হলেও এর পুরোটা শেষ পর্যন্ত ব্যয় হবে না, এটা ধরে নেওয়া যায়৷

‘‘আমাদের কার্যক্রম এবং অর্থায়ন পরিকল্পনা উচ্চাভিলাষী। কিন্তু প্রমাণ করেছি যে উচ্চাভিলাষী কার্যক্রম আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি। গত পাঁচ বছরে আমাদের বাস্তবায়ন দক্ষতা ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করেছে
আবুল মাল আবদুল মুহিত
অর্থমন্ত্রী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায়