ঈদের আগে খুলছে না গাউছিয়া-চাঁদনী চকও

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে রাজধানীর মিরপুর রোডের জনপ্রিয় বিপণিবিতান গাউছিয়া ও চাঁদনী চক খুলছে না। ব্যবসায়ীরা জানান, আজ শনিবার দুপুরে এক বৈঠকে ওই এলাকা ও আশপাশের এলাকার ১১টি বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীরা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেন।

এর আগে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন। ফলে ঢাকার মধ্যম আয়ের মানুষের কেনাকাটার একটি বড় কেন্দ্র ঈদের আগে বন্ধ থাকছে।

জানতে চাইলে চাঁদনী চক ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ১১টি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা একমত হয়েছি যে আমরা মার্কেট খুলব না। এ তালিকায় নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, নূর ম্যানশন, ইস্টার্ন মল্লিকা, চিশতিয়া, ধানমন্ডি হকার্স ইত্যাদি মার্কেট রয়েছে এ তালিকায়।’

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত, তাতে রাজধানীর প্রধান প্রধান বিপণিবিতান খুলছে না। এর মধ্যে বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, সব জুয়েলারি দোকান, মিরপুর ১ নম্বর থেকে মিরপুর ১১ নম্বর পর্যন্ত মার্কেটগুলো, মোতালিব প্লাজা, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া এলাকার বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার, বঙ্গ ইসলামী সুপার মার্কেট এবং মৌচাক এলাকার মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ঈদের কেনাকাটার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতভাবে দোকানপাট খোলার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান। এরপর ১০ মে বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

এরপর গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শপিং মল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ ফেরিওয়ালা/ অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না। ক্রেতারা নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিং মলে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিং মলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবেন না। বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে প্রত্যেক ক্রেতা তাঁর নিজ নিজ পরিচয়পত্র (ব্যক্তিগত আইডি কার্ড/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ বিদ্যুৎ/ গ্যাস/ পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবেন।

ডিএমপির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিটি শপিং মলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার নির্দেশনা আসার পর সময় পাওয়া যাচ্ছে দুই দিন। এর মধ্যে এত সব আয়োজন সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে দোকান বন্ধ রাখাই শ্রেয় বলে মনে করছেন তাঁরা।