এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের জন্য সরকার এসএমই ফাউন্ডেশনকে যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, তা দিয়ে উদ্যোক্তাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এ কারণে এসএমই খাতের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ দাবি জানান উদ্যোক্তারা। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের সাধারণ পর্ষদে ২৮ জন উদ্যোক্তা প্রতিনিধি রয়েছেন।

সভায় উদ্যোক্তারা বলেন, করোনাভাইরাসের সময় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে আরও বেশিসংখ্যক এসএমই উদ্যোক্তাকে এসব কর্মসূচির আওতায় আনতে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের কর্মসূচির সরাসরি সুবিধাভোগী হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা। এর মধ্যে পুরুষ উদ্যোক্তা ১৩ হাজার ৬৯৮ জন ও নারী উদ্যোক্তা ১৪ হাজার ৩১৮ জন।

করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার অন্য অনেক খাতের মতো এসএমই খাতের জন্যও প্রণোদনা দেয়। এর অংশ হিসেবে এসএমই ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করা সেই টাকা প্রত্যাবর্তন শেষে তা দিয়ে একটি ‘রিভলভিং তহবিল’ গঠন করে এসএমই ফাউন্ডেশন, যে তহবিলের অর্থ বারবার ব্যবহার করা যায়।

মাসুদুর রহমান জানান, সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের ৩০০ কোটি টাকা প্রথম দফায় ৩ হাজার ১০৮ জন এসএমই উদ্যোক্তার মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। এরপর রিভলভিং তহবিল থেকে দ্বিতীয় দফায় ২৯৪ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। এ ঋণের সুদ ধরা হয়েছে মাত্র ৪ শতাংশ।

বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাস্তবায়িত কর্মসূচি ও বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ। তিনি জানান, গত অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ৭৪৫টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা, উদ্যোক্তা পুরস্কার প্রদান, ক্লাস্টারভিত্তিক কাজ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন ব্যবসা পরামর্শ সেবা চালু ইত্যাদি।