এক সপ্তাহও চলেনি টিসিবির অনলাইন বিক্রি

টিসিবির অনলাইনে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ২৬ এপ্রিল এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার সময় কবে শেষ হবে, তা বলা না হলেও পরবর্তীকালে জানানো হয়, ৬ মে তা শেষ হবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও চাহিদামতো পণ্য সরবরাহ করতে পারেনি টিসিবি। শুরুর পর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বন্ধ হয়ে যায় এই কার্যক্রম।

অনলাইন পরিবেশকেরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুত পরিমাণে পণ্য দেওয়া হয়নি তাঁদের। সে কারণেই এই বিপত্তি।

‘ঘরে বসে স্বস্তির বাজার’ স্লোগান নিয়ে শুরু হয় টিসিবির এই অনলাইন বিক্রয় কার্যক্রম। সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল ও ছোলা বিক্রি করা হচ্ছিল। শুরুতে টিসিবির দেড় লাখ একক (কেজি অথবা লিটার) পণ্য বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনলাইন পরিবেশকেরা ৬০ হাজার একক পণ্য পেয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইন পরিবেশকদের এককালীন টাকা জমা দিয়ে পণ্য নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। যাঁরা এককালীন টাকা দিতে পেরেছেন, তাঁরা নিয়েছেন; যাঁরা পারেননি, তাঁদের আর সুযোগ দেওয়া হয়নি।

অনলাইন বিক্রেতাদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, টিসিবিই প্রস্তাব করেছিল, বড় পরিবেশকেরা যেন কয়েক দফায় পণ্য নেন। কিন্তু প্রথমবারের পরে অনলাইন পরিবেশকদের আর কোনো পণ্য দেয়নি সংস্থাটি। ই-ক্যাব টিসিবির এই অনলাইন পণ্য বিক্রি কার্যক্রম তদারক করেছে।

পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ সীমিত রাখতে অনলাইনে পণ্য বিক্রির ঘোষণা দেয় টিসিবি। ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ মের মধ্যে ঢাকা, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জে আটটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিসিবির ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কথা ছিল।

এক অনলাইন পরিবেশক প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোকে জানায়, মাঝপথে ঘোষণা ছাড়া পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা। ক্রেতাদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ করা যায়নি। কার্যক্রম শুরুর তিন–চার দিনের মধ্যে প্রথম দফায় নেওয়া পণ্য শেষ হয়ে যায়। পরে টিসিবির কাছ থেকে আর পণ্য পাওয়া যায়নি।

অনলাইন কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় অনলাইনে ক্রেতাদের চাহিদার ভিত্তিতে দেড় লাখ এককের পরেও পণ্য বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল টিসিবি। এর মধ্যে গত ৪ মে ট্রাক সেলের পরিবেশকদের ট্রাকপ্রতি সয়াবিন তেলের বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০০ লিটার করে সংস্থাটি। কার্যক্রমের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না।
২৬ এপ্রিল থেকে ৬ মে ১১ দিন হলেও কার্যক্রমের নাম দেওয়া সেবা সপ্তাহ।