এফবিসিসিআই সভাপতিও লাইসেন্স নিতে ঘুষ দিয়েছেন

একটি গার্মেন্টসের ট্রেড লাইসেন্স নিতে ১৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন ঢাকার পাশের এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। এমন অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ আয়োজনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ‘প্রেজেন্ট সিচুয়েশন অব দ্য ওয়ান–স্টপ সার্ভিস সিস্টেম অব বিডা’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিযোগ করেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের এই নেতা। এ সময় ব্যবসার খরচ কমাতে সনদপ্রাপ্তি ও নবায়নে জটিলতার অবসান চান তিনি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার একটা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ট্রেড লাইসেন্সের জন্য এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ১৩ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাঁকে বুঝিয়ে ৬০০ টাকার ট্রেড লাইসেন্স ৫০ হাজার টাকায় নিয়েছি।’

আশুলিয়া, ঢাকা ও গাজীপুরে ট্রেড লাইসেন্স পেতে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয় উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বাড়তি টাকা দিতে হয়। এরপরও সময়ক্ষেপণ ও নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। একাধিক সংস্থার কাছ থেকে জটিল প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সনদ ও বছর বছর নবায়ন প্রক্রিয়ার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’

অনেক লাইসেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তদারকির সক্ষমতা নেই উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, চাইলেই এক বছর মেয়াদি নবায়নব্যবস্থা থেকে পাঁচ বছর করা যেতে পারে। তবে সার্বিক বিষয়ে শিল্পমালিকদের সচেতনতা ও কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা পরিচালনার অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো সংস্থা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা না দিলে ওয়ান–স্টপ সার্ভিস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে। এ আইন বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে কমিটি গঠিত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনে মন্ত্রীদের কাছে যাব।’

এর আগে সেমিনারে ওয়ান–স্টপ সেবার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডার পরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায়। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. নাসের, সাবেক পরিচালক এস এম কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ প্রমুখ।