কোম্পানি ডুবছে, শেয়ারের দাম উড়ছে

  • ২০১১ সাল থেকে টানা লোকসান দিচ্ছে রসায়ন খাতের কোম্পানি ইমাম বাটন।

  • বিক্রি না থাকায় করোনার মধ্যে গত এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে কারখানা।

  • কোম্পানিটি বলছে, বাজারে চাহিদা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহারও করা যাচ্ছে না।

  • শেয়ারবাজারে এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

২০১১ সাল থেকে টানা লোকসান। করোনায় বিক্রি না থাকায় এপ্রিল থেকে কারখানা একেবারে বন্ধ। কোম্পানি নিজেরাই বলছে, প্রত্যাশিত আয় না হওয়ায় নয় বছর ধরে টানা লোকসান হচ্ছে। আবার বিক্রি না থাকায় উৎপাদন ক্ষমতার পুরোটা ব্যবহারও করা যাচ্ছে না।

কোম্পানি ডুবলেও শেয়ারের দাম যেন হাওয়ায় উড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এ লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকা কোম্পানিটির নাম ইমাম বাটন। বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত লভ্যাংশ দিতে না পারায় এটি মন্দ বা বাজে কোম্পানি হিসেবে 'জেড' শ্রেণিভুক্ত।  
সেই মন্দ মানের কোম্পানিটিরই শেয়ারের দাম এক মাসের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গত ২৮ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৯ টাকা। গতকাল দিন শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা।

এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোম্পানিটি তাদের জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত জানুয়ারি–মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস কমে ২৩ পয়সা ঋণাত্মক হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ৭ পয়সা ঋণাত্মক ছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১৬ পয়সা।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ রকম একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম এক মাসে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। তাই ধারণা করা যায় কারসাজির মাধ্যমেই অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এ ধরনের কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির আওতায় আনা। তা না হলে এ ধরনের প্রবণতা পুরো বাজারের ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।  

আরও পড়ুন

চট্টগ্রামভিত্তিক এ কোম্পানিটির কারখানা অবস্থিত নগরীর ফৌজদারহাট এলাকায়। কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের বোতাম তৈরি করে থাকে। ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শতভাগ রপ্তানিমুখী এ কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। ওই বছরই কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর কোম্পানিটি আর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।