গ্রামীণফোনের সব টাওয়ার ফোর-জিতে রূপান্তর

নিজেদের সব টাওয়ার ফোর-জিতে রূপান্তর উদ্‌যাপনে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা
ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের সব টাওয়ারকে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা বা ফোর-জিতে রূপান্তর করেছে মোবাইল অপারেটর। তাদের টাওয়ার মোট ১৫ হাজার ৫০০টি।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয় গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র। অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত হন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ইয়েন্স বেকার ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব।

গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব কটি টাওয়ার ফোর-জিতে রূপান্তর করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটালাইজেশনের যাত্রায় অংশীদার হিসেবে অঙ্গীকারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনরায় নিশ্চিত করল তারা।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি বরাবরই পুরো দেশ ফোর-জি সেবার আওতায় আনার ওপর জোর দিয়েছি। যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন সাধারণ মানুষও ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অংশ হতে পারে।’

বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘সারা দেশে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সব মোবাইল ফোন গ্রাহকের জন্য গুণগত সেবা নিশ্চিত করতে এবং তাদের ডিজিটালাইজেশন ও যোগাযোগের চাহিদা পূরণে আমরা এখন আরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন এবং উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতায় আমরা ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করা ও অংশীদারত্বের প্রত্যাশী।’

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিএমও সাজ্জাদ হাসিব প্রত্যন্ত অঞ্চলের একাধিক প্রতিনিধিকে সরাসরি কল করেন এবং তাঁদের সঙ্গে ফোর-জির মাধ্যমে যোগাযোগের আনন্দ উদ্‌যাপন করেন।