ঘরের দেয়ালের স্যানিটাইজার নিপপন পেইন্ট স্পট-লেস প্লাস

ঘরের দেয়ালের স্যানিটাইজার নিপপন পেইন্ট স্পট-লেস প্লাস।

করোনার এ সময়ে আমরা চেষ্টা করছি নিজেদের জীবাণু, রোগ থেকে দূরে রাখতে। সবাই নিজেদের সুরক্ষিত রাখছি মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজারের সাহায্যে। আমরা চেষ্টা করছি আপনজনদেরও এ সময়ে রোগ বালাই থেকে সুরক্ষিত রাখতে। সবকিছুতে নিচ্ছি আলাদা যত্ন নিচ্ছি। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে কত কিছুই তো করছি। কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি যে ঘরের দেয়াল আমাদের ঘিরে রেখেছে, সেই দেয়ালের জন্য আমরা কি করছি? হাত দিয়ে ঘরের দেয়াল সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করি আমরা। তাই ঘরের দেয়াল স্যানিটাইজড রাখতে আছে নিপপন পেইন্টের স্পট-লেস প্লাস।
এশিয়ার এক নম্বর পেইন্ট ব্র্যান্ড জাপানি প্রযুক্তির নিপপন পেইন্ট গ্রাহকদের জন্য সব সময় নতুন ও যুগান্তকারী পণ্য প্রস্তুত করছে ১৪০ বছর ধরে। সেই ধারাবাহিকতায় উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ২০১৯ সালের শুরুতেই নিপপন পেইন্ট বাংলাদেশে লঞ্চ করে স্পট-লেস প্লাস। স্পট-লেস প্লাস বাংলাদেশের সর্ব প্রথম অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পেইন্ট। স্পট-লেস প্লাস-এ আছে ‘সিলভার আয়ন’ টেকনোলজি, যা ঘরের দেয়ালের ৯৯.৯৯% ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। E. coli, S. aureus, MRSA সহ আরও অনেক ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে ঘরের পরিবেশকে রাখে সুরক্ষিত (SETSCO এর টেস্ট রিপোর্টে প্রমাণিত)।

‘সিলভার আয়ন’ কি? সিলভার অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া দূরীকরণের কাজে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্রিম, ক্রিম জাতীয় ওষুধের টিউব, পানির বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াসহ জীবাণু প্রতিরোধক সব কাজে সিলভার আয়ন ব্যবহার করা যায়। আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি’র এক গবেষণার রিপোর্টে দেখা গেছে ‘সিলভার আয়ন’ ক্ষতিকারক Staphylococcus aureus এবং Escherichia coli এর বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করে এগুলোকে ধ্বংস করে। পেইন্টে ‘সিলভার আয়ন’ সংযুক্ত করার মূল কারণ হচ্ছে ঘরের ভেতরের দেয়ালকে স্যানিটাইজড রাখা। ঘরের দেয়াল স্যানিটাইজড রাখা মানে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর ইন্টেরিয়র পরিবেশ। ‘সিলভার আয়ন’ সমৃদ্ধ স্পট-লেস প্লাস ঘরের ভেতরের পরিবেশ রাখে নিরাপদ ও সুরক্ষিত। তাই এই জন্য স্পট-লেস প্লাস শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি, ফ্লু এবং ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।

আমরা সবাই চাই চারপাশের পরিবেশ থাকুক নিরাপদ ও সুন্দর। তাই আমরা চাই পরিবেশবান্ধব পণ্য। এখন সবাই আস্তে আস্তে পরিবেশবান্ধব পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। পরিবেশের প্রতি হুমকি থাকে এই ধরনের পণ্য ব্যবহারে সবাই সচেতন। নিপপন পেইন্ট সর্বদা সচেষ্ট আছে পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে। এরই ধারাবাহিকতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হওয়ার পাশাপাশি স্পট-লেস প্লাস সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব রং। স্পট-লেস প্লাস-এ নেই ক্ষতিকারক VOC (ভলাটাইল অরগানিক কম্পাউন্ড) তাই সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব। ইন্টেরিয়র রং-এর যদি পরিবেশবান্ধব হতে হয় তবে VOC (ভোলাটাইল অরগানিক কম্পাউন্ড) এর সর্বোচ্চ মাত্রা হচ্ছে প্রতি লিটারে ৩০ গ্রাম। কিন্তু পরীক্ষা করে স্পট-লেস প্লাস-এ পাওয়া যায়নি কোনোও রকমের VOC’র উপস্থিতি (SETSCO এর টেস্ট রিপোর্টে প্রমাণিত)। এ ছাড়া নিপপন পেইন্টের কোনোও রঙে কখনো ফরমালিন মিশ্রিত হয় না। কারণ রঙে ফরমালিন মিশ্রণের ফলে পেইন্টারের ও ঘরের বাসিন্দারের হতে পারে শ্বাসকষ্ট, চোখ-নাক-ত্বকে জ্বালাপোড়া। ফরমালিন না থাকায় এই রং থেকে পেইন্টার এবং অ্যান্ড ইউজার-এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বললেই চলে। আর রং করলে মনেই হবে না যে ঘরে রং এর কাজ হচ্ছে। কারণ, উন্নত প্রযুক্তিতে প্রস্তুতকৃত স্পট-লেস প্লাস একেবারেই গন্ধহীন।

স্পট-লেস প্লাস স্বাস্থ্যের বিকাশের ব্যাপারে তো অনেক কিছুই নিয়ে এল। কিন্তু শিশুদের মানসিক বিকাশেও স্পট-লেস প্লাস রাখবে অনেক ভূমিকা। বাচ্চা-কাচ্চারা দেয়ালে আঁকিবুঁকি করলে অভিভাবক যাতে বকাঝকা না করেন তাই স্পট-লেস প্লাসে আছে বিডিং ইফেক্ট। বিডিং ইফেক্টের কাজ হচ্ছে লিকুইড বা ওয়েল জাতীয় দাগকে দেয়ালে বসতে না দেওয়া এবং রঙের ওয়াশেবিলিটি নিশ্চিত করা। পানি, মাইল্ড সোপ, শ্যাম্পু দিয়ে দেয়ালের দাগ যাতে ধুয়ে ফেলা যায় তাই কাজ করতে থাকে এক্টিভ বিল্ডিং ইফেক্ট। শুধু বাচ্চাদের দোষ দিলেই কি হবে? আমরা বড়রাও তো দেয়াল কম ময়লা করি না। আমাদের হাতের ছাপ, সস, কফি, চা, ঝোল, কালি, তেলের দাগ দেয়ালে পড়ে। দেয়ালে পড়া দাগ যাতে সহজেই ধুয়ে ফেলা যায় তাই দেয়াল পরিষ্কার রাখতে ঘর রাঙান স্পট-লেস প্লাস দিয়ে।
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল স্পট-লেস প্লাস হাসপাতাল, শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্কুল, ডাক্তারের চেম্বার, রেস্তোরাঁ, তারকা মানের হোটেল, গবেষণাগার/ল্যাবরেটরি ও লোক সমাগম স্থলসহ আরও অনেক স্থানে ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী। ব্যাকটেরিয়া রোধে লিভিং রুম, ডাইনিং স্পেস, কিচেন, শিশু ও বয়স্কদের রুম স্পট-লেস প্লাস ব্যবহার করা হচ্ছে বেস্ট সলিউশন। নিজে থাকুন স্যানিটাইজড, ঘরের দেয়াল রাখুন সেইফ ও স্যানিটাইজড।