চলতি অর্থবছরে ৮০ হাজার টন আলু রপ্তানির পরিকল্পনা

ফাইল ছবি

কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে একটি খসড়া রোডম্যাপ তৈরি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তাতে শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তা সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশের প্রস্তাব করা হয়েছে। সুপারিশ বাস্তবায়ন করা গেলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ দশমিক ৬৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করা সম্ভব। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারে উত্তীর্ণ করা সম্ভব।

গতকাল সোমবার ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপের ওপর এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২২ সালের মধ্যে ৮০ হাজার টন, ২০২৩ সালে ১ লাখ ২০ হাজার টন, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৮০ হাজার টন এবং ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার টন রপ্তানি করা সম্ভব বলে এ খসড়া রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে।

সভায় কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের শাকসবজি, আলু ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। এখন আমাদের বিভিন্ন ফসল ও খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে। এ উদ্বৃত্ত ফসল সারা পৃথিবীতে আমরা রপ্তানি করতে চাই।’ তিনি জানান, কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় গত জুনে কমিটি গঠন করেছে। কমিটি শাকসবজি, ফলমূল রপ্তানির জন্য একটি ও আলু রপ্তানির জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারলে একদিকে কৃষকেরা লাভবান হবেন, অন্যদিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ এবং আলু রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের গবেষণা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মো. রেজাউল করিম।