ছোটদের সামর্থ্য নেই, বড়রা চান বেশি প্লট

মোশতাক হাসান, চেয়ারম্যান, বিসিক

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক) এখন কেমন চলছে?

মোশতাক হাসান: বিসিক এখন ভালো চলছে। দুই-তিন বছর আগেও বিসিক একটি সমস্যাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। দুই বছর আগে এই ডুবন্ত জাহাজকে উদ্ধার করার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। আমরা এখন বিসিকের সেবা সহজ করেছি। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের হার বাড়িয়েছি। করোনার মধ্যেও জেলায় জেলায় মেলা আয়োজন করছি। নতুন নতুন শিল্পনগরী হচ্ছে। বিসিক এত বড় প্রতিষ্ঠান অথচ অর্থনীতিতে যতটা অবদান রাখার কথা ছিল, ততটা রাখতে পারেনি।

প্রশ্ন :

অনেক বিসিক শিল্পনগরে বছরের পর বছর প্লট খালি থাকে। কেন?

মোশতাক হাসান: জেলায় জেলায় শিল্পায়ন করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। যেসব জেলায় ব্যবসা কেন্দ্র আছে, সেখানেই শিল্পনগর করা দরকার। বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়ীরা নিজ জেলায় কতজন শিল্পকারখানা করেছেন? সবাই ঢাকা ও এর আশপাশে কারখানা করেছেন। এতে আঞ্চলিক বৈষম্য বেড়েছে। আর সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং বিনিয়োগের অভাবে ছোট উদ্যোক্তাদের নামে বরাদ্দ করা কিছু প্লট খালি আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ছোট শিল্প প্লটের চাহিদা কমে গেছে।

প্রশ্ন :

বিসিকের প্লট কি বড় উদ্যোক্তাদের হাতে চলে যাচ্ছে?

মোশতাক হাসান: ছোট উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ করার মতো সামর্থ্য নেই। তাঁদের অনেকে ছোট ছোট প্লট নিয়েও বিনিয়োগ করতে পারছেন না। এ জন্য অনেক প্লট খালি পড়ে আছে। আবার আকারে বড় এবং একসঙ্গে একাধিক প্লটের চাহিদা বেশি। তাই বড় শিল্প উদ্যোক্তারা একসঙ্গে অনেক প্লট নিয়েছেন। বিসিকের প্লটে তাঁদের আগ্রহ বেশি।

প্রশ্ন :

বিসিকের মহাপরিকল্পনা কী?

মোশতাক হাসান: ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ হাজার একর জমিতে ১০০টি শিল্পপার্ক স্থাপনের মহাপরিকল্পনা করেছে বিসিক। এতে ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিসিক এখন ৩০০ থেকে ৫০০ একরের শিল্পনগরী স্থাপনের দিকেই মনোযোগী হচ্ছে। ১৩টি শিল্পনগরীর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইতিমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।