জনতা ও অগ্রণীর দুই ভাগ্যবান এমডি-চেয়ারম্যান

রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন আব্দুছ ছালাম আজাদ। ২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল তাঁর ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন

গতকাল সোমবার তাঁর এই পুনর্নিয়োগ অনুমোদন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বিভাগটি বলেছে, সরকারের সম্মতিক্রমে এ নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জনতা ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৭১ সালের পর থেকে ব্যাংকটিতে ২৪ এমডি দায়িত্ব পালন করেছেন। আব্দুছ ছালাম আজাদ ব্যাংকটির ২৪তম এমডি। অন্যদিক থেকে তিনি জনতা ব্যাংকের ভাগ্যবান দুই এমডির একজন। এ ব্যাংকে দুজন বাদে কোনো এমডিই ছয় বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করেননি।

এমডি হিসেবে ব্যাংকটিতে তিন দফায় মোট আট বছর দায়িত্ব পালন করা প্রথম ভাগ্যবান এমডি ছিলেন এস এম আমিনুর রহমান। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার আগে ২০০৪-০৬ সময়েও এমডি ছিলেন আমিনুর রহমান। আর আব্দুছ ছালাম আজাদ দ্বিতীয় ভাগ্যবান এমডি হিসেবে ছয় বছর দায়িত্ব পালনের সরকারি অনুমোদন পেয়েছেন।

এমডি হিসেবে ব্যাংকটিতে তিন দফায় মোট আট বছর দায়িত্ব পালন করা প্রথম ভাগ্যবান এমডি ছিলেন এস এম আমিনুর রহমান। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার আগে ২০০৪-০৬ সময়েও এমডি ছিলেন আমিনুর রহমান। আর আব্দুছ ছালাম আজাদ দ্বিতীয় ভাগ্যবান এমডি হিসেবে ছয় বছর দায়িত্ব পালনের সরকারি অনুমোদন পেয়েছেন। এমডি হিসেবে প্রথম দফায় তিন বছরের জন্য তিনি ব্যাংকটিতে যোগ দেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বর। নতুন করে গতকাল আরও তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেন তিনি।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির জাতীয়করণ আদেশের আওতায় ইউনাইটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক মিলে রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংক গঠন করা হয়। ২০০৭ সালে ব্যাংকটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এটির ১০০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুর শতভাগ শেয়ারের মালিক সরকার। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ২ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। গত জুলাই পর্যন্ত এটির জনবল প্রায় সাড়ে ১১ হাজার।

স্বাধীনতার পর ব্যাংকটির প্রথম এমডি ছিলেন খায়রুল কবির। ১৯৭১ সালের ১৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১৫ দিন এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। পরে জি এম চৌধুরী নামের একজন দুই মাস দায়িত্ব পালন করেন। আবার খায়রুল কবির এমডি হন পরের দুই বছরের জন্য।

জায়েদ বখত

এদিকে জায়েদ বখতকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে আবার অগ্রণী ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে সরকার। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাঁকে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে ব্যাংকটির এমডি বরাবর এই চিঠি দিয়েছে। জায়েদ বখত ২০১৪ সাল থেকে তিন বছর করে দুই দফায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এবারেরটিসহ তিনি ৩ দফায় ৯ বছরের জন্য চেয়ারম্যান হবেন। রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে টানা ৯ বছর দায়িত্ব পালন দেশের ব্যাংক ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

আরও পড়ুন