টিকার খবরে বাড়ছে তেলের দাম

কোভিড-১৯-এর টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এতে বাজারে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৯ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এ সপ্তাহেই ব্রিটেনে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও এই সপ্তাহের শেষ নাগাদ টিকা প্রয়োগ শুরু হতে পারে। কানাডাও বুধবার টিকার অনুমোদন দিয়েছে। তারা এ–ও বলেছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই টিকা প্রয়োগ শুরু হতে পারে।

টিকা প্রয়োগের খবর কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে তেলের দামও তিন ধরে বাড়ছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তেলের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৯ দশমিক ২১ ডলারে উঠে যায়। এ ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৪৫ দশমিক ৭৪ ডলারে উঠেছে।

তেলের চাহিদাও বাড়তে শুরু করেছে। এতে মার্কিন তেল সংরক্ষণাগারগুলোতে তেলের মজুত ১৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়েছে।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় তেলের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৯ দশমিক ২১ ডলারে উঠে যায়। এ ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৪৫ দশমিক ৭৪ ডলারে উঠেছে

ইরাকে একটি তেলের খনিতে বুধবার আগুন লাগার কারণেও তেলের দাম বেড়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। তবে ওই খনির উৎপাদন সেভাবে কমেনি। তেল ব্যবসায়ীরা মনে করেছিলেন, এতে বাজারে তেলের সরবরাহ কমে যাবে।

তেলের দাম কয়েক বছর ধরে এমনিতেই কম। পাশাপাশি সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন ওপেকের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্বের কারণে বাজারে তেলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম আরও পড়ে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় কোভিডের ধাক্কা। তাতে গত এপ্রিল মাসে তেলের দাম শূন্যের নিচে মাইনাস ৪০ ডলার পর্যন্ত চলে যায়—ইতিহাসে এই প্রথম।

আরও পড়ুন

বাজারে তেলের যে দাম বলা হয়, সেটা আসলে দামের আগাম মূল্যায়ন। ভবিষ্যৎ চাহিদার ভিত্তিতে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী যে তেল সরবরাহ লাইনে আছে, তার ভিত্তিতে আগামী কয়েক মাসে তেলের দাম কী হবে, সেটা বলা হয়। সরবরাহের সময় এগিয়ে এলে পরবর্তী মাসগুলোর চাহিদা মূল্যায়ন করে পরবর্তী দাম ঠিক করা হয়।

এদিকে বাজারে চাহিদা বাড়ায় ওপেক আগামী জানুয়ারি মাসে তেলের সরবরাহে দিনে ৫ লাখ ব্যারেল বাড়িয়ে দেবে বলে জানিয়েছে। তবে একবারে এই সরবরাহ বাড়াবে না তারা। বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ধাপে ধাপে সরবরাহ বাড়ানো হবে।