ডিজিটাল উদ্ভাবনে আধুনিক জীবন

উদ্ভাবনের মাধ্যমে জীবনযাপনের রূপান্তর (ট্রান্সফর্মিং লাইফ থ্রু ইনোভেশন) স্লোগান নিয়ে একই প্রাঙ্গণে নানা আয়োজনে চলবে বেসিস সফটএক্সপো। ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব ধরনের হাতিয়ার পাওয়া যাবে এই মেলায়। প্রযুক্তির সাম্প্রতিকতম উদ্ভাবন এবং আইসিটিতে বাংলাদেশে সক্ষমতার নমুনা দেখাতে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) শুরু হচ্ছে সফটওয়্যার খাতের সবচেয়ে বড় মেলা বেসিস সফটএক্সপো ২০২০। বেসিসের আয়োজনে ১৬তম বারের মতো হচ্ছে এই মেলা।

নানা আয়োজনে সাজবে ১৬তম আসর

বেসিস সফটএক্সপোর এই ১৬তম আয়োজন হচ্ছে সবচেয়ে বড় পরিসরে। আইসিসিবির পাঁচটি হলজুড়ে হবে দেশের আইসিটি খাতের সবচেয়ে বড় এই মেলা। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশ-বিদেশ থেকে বক্তারা আসবেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য থাকছে উইমেন জোন। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্যে থাকছে বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। এ বছর সুইডেন, জাপান, নেদারল্যান্ডস থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশনে অংশ নেবে। পাশাপাশি অন্য খাত থেকে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সফলভাবে বিটুবি সেশন সম্পন্ন করা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘বেসিস টপ টেন ডিজিটাল-রেডি কোম্পানি’–এর সম্মাননা প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি স্টলেই থাকবে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেওয়ার সুবিধা। এবারে মেলার প্লাটিনাম পৃষ্ঠপোষক ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

৩০০ প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে

বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-এর আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টায় আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন না বাস্তব। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করতে সরকারসহ আমাদের এই দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যে উদ্ভাবন, সেটা তুলে ধরার জন্য এই আয়োজনে ৩০০ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।’

বেসিসের ১৬তম এই আসরে থাকছে ৩০টির মতো সেমিনার, যেখানে সবগুলো সেমিনারই গুরুত্বপূর্ণ। সুইডেন, জাপান, নেদারল্যান্ডস থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে।

সফটওয়্যার খাতের প্রতিনিধি

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন। এটি জাতীয়ভাবে সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। বেসিস ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যসংখ্যা ছিল ১৮। বর্তমানে ১ হাজার ৩৩৫টি সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বেসিসের সদস্য। বেসিসের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা প্রদর্শন।

বেসিসের কাজ

*    স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সদস্যদের সেবা দিতে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকারকে সাহায্য করা।

*    স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা প্রদর্শনের লক্ষ্যে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মেলা ও সম্মেলন আয়োজন করে বেসিস। এ ছাড়া সদস্যদের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা আয়োজনও বেসিসের কাজ।

*    বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সদস্যদের সঙ্গে সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন খাতের সমন্বয় সাধন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।

*    তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বেসিস কাজ করছে আগামী দিনের দেশকে নেতৃত্ব প্রদানকারী তরুণদের নিয়ে।

.
.

বেসিস সফটএক্সপোর অ্যাপে নিবন্ধন করে মেলায় বিনা মূল্যে প্রবেশ করা যাবে। প্রথম ২৫ হাজার নিবন্ধনকারী দর্শক পাবেন ২০ টাকার টকটাইম। এছাড়া নিবন্ধিতদের জন্য লটারির মাধ্যমে আছে নানা পুরস্কার। অ্যাপে পাওয়া যাবে সেমিনার, অংশগ্রহণকারীেদর তথ্য এবং সব অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা যাবে।

ঠিকানা: https://bit.ly/2S8qd0o

একনজরে বেসিস সফটএক্সপো ২০২০

৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি

সময়সূচি: প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা।

স্থান: আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)

উদ্বোধন করবেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি

মো. আবদুল হামিদ

যা যা থাকছে

*  ১০টি বিশেষ জোন।

*  ৩০০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টল।

*  ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক সেমিনার।

*  ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প।

*  ৪৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী।

*  বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং সম্মেলন।

*  ১০০ জনেরও বেশি দেশি-বিদেশি তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের অংশগ্রহণ।

*  ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন।

*  সুইডেন, জাপান, নেদারল্যান্ডস থেকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশনে অংশগ্রহণ।

*  শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণে সিএক্সও লিডারশিপ মিট।

*  থাকছে কনসার্টও।

সময়রেখা

বেসিস সফটএক্সপো: একাল– সেকাল

২০০৩

স্থান: বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।

সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদর্শনী এবং তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা।

প্রতিষ্ঠান: ১২০।

দর্শক: ৫০ হাজারের বেশি।

২০০৪

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান : বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।

সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদর্শনী, তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, ২০টি সেমিনার, বেস্ট আইটি ইউজ পুরস্কার এবং আইটি এন্টাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।

প্রতিষ্ঠান: ১২০।

দর্শক: ৫০ হাজারের বেশি।

২০০৫

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান: বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।

জোন: চারটি।

তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, আটটি সেমিনার ও কর্মশালা, বেস্ট আইটি ইউজ অ্যাওয়ার্ড এবং আইটি এন্টাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ইত্যাদি।

প্রতিষ্ঠান: ১২৫।

দর্শক: এক লাখ।

২০০৬

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান: বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।

জোন: চারটি।

তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, ২০টি সেমিনার ও কর্মশালা, বেসিস–ডিবিবিএল বেস্ট আইটি ইউজ অ্যাওয়ার্ড, আইটি ইনোভেশন সার্চ প্রোগ্রাম এবং সিইও ডিনার।

প্রতিষ্ঠান: ২০০।

দর্শক: এক লাখ।

২০০৭

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান: বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।

জোন: সাতটি।

তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, আটটি সেমিনার ও কর্মশালা, বেস্ট আইটি ইউজ অ্যাওয়ার্ড ও আইটি ইনোভেশন সার্চ প্রোগ্রাম।

প্রতিষ্ঠান: ১৩০।

দর্শক: এক লাখ।

২০০৮

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান: বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র।

জোন: ছয়টি।

তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, ১৬টি সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠক।

প্রতিষ্ঠান: ১৩০।

দর্শক: এক লাখ।

২০০৯

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা।

জোন: আটটি।

তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, ১০টি সেমিনার, অ্যাওয়ার্ড অ্যান্ড সিইও নাইট, আইটি এন্টাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।

প্রতিষ্ঠান: ১৩০।

দর্শক: এক লাখ।

যৌথ আয়োজক: বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

২০১০

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা।

জোন: সাতটি।

তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, ১৩টি সেমিনার, একটি গোলটেবিল বৈঠক, সাতটি কারিগরি অধিবেশন পুরস্কার এবং সিইও নাইট।

প্রতিষ্ঠান: অংশগ্রহণ করে ছিল মোট ১৩৫টি।

দর্শক: এক লাখ।

যৌথ আয়োজক: বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

২০১১

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা।

জোন: সাতটি।

তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, ২২টি সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠক, বেসিস অ্যাওয়ার্ড নাইট, আইটি–ইনোভেশন সার্চ প্রোগ্রাম, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যাচমেকিং, কোড ওয়ারিয়র চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি।

প্রতিষ্ঠান: ১৩৫।

দর্শক: এক লাখ।

যৌথ আয়োজক: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি।

২০১২

ব্যাপ্তিকাল: পাঁচ দিন।

স্থান : বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা।

জোন: ১০টি।

আয়োজন: তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা, ২২টি সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠক, বেসিস অ্যাওয়ার্ড নাইট, আইটি–ইনোভেশন সার্চ প্রোগ্রাম, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যাচমেকিং, কোড ওয়ারিয়র চ্যালেঞ্জ এবং আইডিয়া অ্যান্ড ইনোভেশন প্লাটপফর্ম ইত্যাদি।

প্রতিষ্ঠান: ১৪০।

দর্শক: এক লাখ ২০ হাজার।

যৌথ আয়োজক: তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি।

২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬

সরকার আয়োজিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলার অংশ হিসেবে বেসিস সফটএক্সপো অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৭

ব্যাপ্তিকাল: চার দিন।

স্থান : বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা।

জোন: চারটি।

আয়োজন: লিডারশিপ মিট, ইন্টারন্যাশনাল বিটুবি, বেসিস স্মার্ট কার্ড, আইডিয়া ওয়ার্কশপ ফর গেম ডেভেলপমেন্ট, সেমিনার অন ই–কমার্স ইন বাংলাদেশ, ডেভেলপার কনফারেন্স, টেক ওমেন কনফারেন্স, এন্টাপ্রেনিউরশিপ কনফারেন্স এবং ইনফরমেশন কনফারেন্স।

প্রতিষ্ঠান: ১৮০টি।

দর্শক: এক লাখ ২০ হাজার।

২০১৮

ব্যাপ্তিকাল: চার দিন।

স্থান : বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা।

জোন: পাঁচ।

৬টি সেমিনার, ডেভেলপার কনফারেন্স, বিটুবি লোকাল, স্টার্টআপ, তথ্যপ্রযুক্তি চাকরি মেলা।

প্রতিষ্ঠান: অংশগ্রহণ করে ছিল মোট ১৮০টি।

দর্শক: এক লাখ ৩০ হাজার।

২০১৯

স্থান: আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, বসুন্ধরা, ঢাকা।

ব্যাপ্তিকাল: ১৯ থেকে ২১ মার্চ, ২০১৯।

জোন: ১০টি।

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ২৫০।

দর্শক: ২ লাখ ৫০ হাজার।

২০২০

স্থান: আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) ঢাকা।

ব্যাপ্তিকাল: ৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০।

জোন: ১০টি।

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ৩০০।

টার্গেট দর্শক: ৩ লাখ ৫০ হাজার।

১০টি বিশেষ জোনে কী থাকছে

সফটওয়্যার সেবাপ্রদর্শনী জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১২০

বেসিস সফটএক্সপোর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে ‘সফটওয়্যার শোকেসিং জোন’ অন্যতম। এই জোনে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি বিভিন্ন পরীক্ষাগত সফটওয়্যার থাকবে, যা ব্যাংকিং সল্যুশন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাত, উত্পাদন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো স্থান পাবে এই বিশেষ জোনে।

ভ্যাট জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১৫

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে স্থানীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। দেশীয় সফটওয়্যার খাতের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে বলেই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি ভ্যাট সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সফটওয়্যার এনলিস্টেড করেছে। বেসিস সফট এক্সপো এর মধ্যেই প্রদর্শনী জোন হিসেবে থাকছে ভ্যাট জোন । এখানেই খুঁজে পাওয়া যাবে তার দরকারের এনবিআর অনুমোদিত সবগুলো ভ্যাট সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান।

এক্সপেরিয়েন্স জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ২৫

এক্সিপেরিয়েন্স জোন। এখানে অগমেন্টেন্ড রিয়ালিটি, ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটির অনেক পণ্য থাকবে। যা ছুঁয়ে দেখে পরখ করে বোঝা যাবে। মাথায় হেডসেট পরে ভিডিও দেখার ছবি-ভিডিও দেখার কথা তো আমরা জানিই। এগুলো আসলে অগমেন্টেন্ড রিয়ালিটি, ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটির বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী।

এ ছাড়াও অত্যাধুনিক উচ্চগতির ফাইভ-জিইন্টারনেটে এক্সিপেরিয়েন্স জোনও থাকবে এখানে। এখানে উঠে আসবে পুরো দেশের সবশেষ প্রযুক্তি, আছে পরখ করে দেখার, শেখার অনেক কিছু।

ডিজিটাল কমার্স জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১৮

বেসিস সফটএক্সপোর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে ‘ডিজিটাল কমার্স জোন’ অন্যতম। উন্নত ও অভাবনীয় সব দেশীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন ঘরেব সেই অনলাইনে শপিং করা যাচ্ছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে সহজ করে বিভিন্ন ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে এই জোনে।

উইমেন জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১০

বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-এ ১০টি নারীদের দ্বারা পরিচালিত তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সেবা ও পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারীদের দ্বারা পরিচালিত ১০টি আইসিটি প্রতিষ্ঠানকে বিনা মূল্যে স্টল প্রদান এবং পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ৩৫

দেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রভাব পড়েছে অথচ তা আমরা অনেকেই জানি না বা অনুধাবন করছি না। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনমানকে উন্নত করবে। বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-এর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে একটি ইন্ডাস্ট্রি ৪.০। থাকবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, আইওটিসহ অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সেবা ও পণ্যসামগ্রী যেসব স্থানীয় প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করছে, তাদের অংশগ্রহণ।

উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১২

বেসিস সফটএক্সপোর প্রদর্শনী এলাকার দশটি জোনের মধ্যে ‘মোবাইল ইভোভেশন জোন’ অন্যতম। বাংলাদেশ অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। বিভিন্ন অ্যাপস এখন নিয়ন্ত্রণ করছে জীবন। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপস এবং উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা স্থান পাবে এ জোনে। এখানে দর্শনার্থীরা এসে বিশ্বের স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইলের জন্য তৈরি অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এবং অ্যাপগুলো সম্পর্কে দেখতে ও জানতে পারবে।

ডিজিটাল এডুকেশন জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১০

বাংলাদেশের এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ইউরোপ, আমেরিকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। বেসিস সফটএক্সপোতে এক ছাদের নিচে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কথা মাথায় রেখে বানানো সব এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী- বেসি সসফটএক্সপো। সব নামীদামি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থাকবে এডুকেশন জোনে।

ফিনটেক জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১০

প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হচ্ছে ডিজিটাল পেমেন্ট ও ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি। পাশাপাশি আইটিনির্ভর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সেক্টরে বেড়েছে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ। ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ও ফিনটেক প্ল্যাটফর্মের সার্বিক অগ্রযাত্রার চিত্র ফুটে উঠবে এই জোনে

আইটিইএস ও বিপিও জোন

*  অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ৪৫

দশটি জোনের মধ্যে ‘আইটিইএস অ্যান্ড বিপিও’ অন্যতম। কী অসাধারণ দ্রুততার সঙ্গেই না এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি। সম্ভাবনাময় এ খাত দিনকে দিন বড় হচ্ছে। আর সম্ভাবনায় একঝাঁক তরুণ–তরুণীর কথা মাথায় রেখে এই সেক্টরে বেড়েছে বিনিয়োগ। আইটিইএস অ্যান্ড বিপিওর সাফল্যের গল্প তুলে ধরবে এই জোনটিতে।