ঢাকায় প্লাস্টিক মেলা শুরু হচ্ছে কাল

ঢাকায় চার দিনের ১২তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা শুরু হচ্ছে কাল বুধবার। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই মেলায় দেশ-বিদেশের ৭২টি প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক স্টল থাকবে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী ও প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করবে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) এবং চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করছে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিপিজিএমইএর প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। তাতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, কাজী আনোয়ারুল হক ও গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ, সামিম আহমেদ প্রমুখ।
জমিস উদ্দিন বলেন, চার দিনের মেলায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গৃহস্থালি সামগ্রী, পণ্য মোড়কীকরণের উপকরণ, প্লাস্টিক মোল্ড, খেলনা, আসবাব, মেলামিন, পোশাক খাতের সরঞ্জাম, পিপি ওভেন ব্যাগ ইত্যাদি প্রদর্শন করবে। আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক ইনজেকশন মোল্ডিং, পিপি ওভেন ব্যাগ, প্যাকেজিং, ফ্লেক্সোগ্রাফিক, পেট ব্লো, প্লাস্টিক ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির যন্ত্র প্রদর্শন করবে।
বিপিজিএমইএর নেতারা বলেন, প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি (সরাসরি) করে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছর ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় হয়। এই আয় তার আগের অর্থবছরের ১০ কোটি ডলারের চেয়ে সাড়ে ২৪ শতাংশ কম। এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিকের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় পেট্রোকেমিক্যাল। কিছুদিন ধরে বিশ্ববাজারে পেট্রোকেমিক্যালের দাম নিম্নমুখী। তাই প্লাস্টিক পণ্যের দামও পড়ে গেছে। তাই রপ্তানি আয় কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি স্থগিত হওয়ার পর সেখানে রপ্তানি কমে গেছে।
সমিতির সভাপতি বলেন, সরকার প্লাস্টিক খাতে নগদ সহায়তা দিচ্ছে। তবে বন্ড সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ সহায়তার বাইরে রাখা হয়েছে। সে জন্য অনেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানই নগদ সহায়তা পাচ্ছে না। সরকারের এ নীতি পরিবর্তনের দাবি জানান তিনি।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৫০ একর জমির ওপর প্লাস্টিক শিল্প নগরী করতে কাজ শুরু করেছে বিসিক। জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। শিগগিরই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, শিল্পপার্কটি হলে পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক কারখানাগুলোকে স্থানান্তর সম্ভব হবে।