তেলের দাম কমালে বাসভাড়া বৃদ্ধির দরকার হবে না: ক্যাব

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কমিটি বাসভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর যে সুপারিশ করেছে, তাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

এ সুপারিশ সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি বলে উল্লেখ করে ক্যাব বলেছে, বিশ্ববাজারে কয়েক দশকের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম এখন সর্বনিম্ন। তাই বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হলে বাসভাড়া বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন হবে না। ক্যাব মনে করে, তাতে গণপরিবহনের ভাড়া বরং কমানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে।

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের মধ্যে সরকার কাল রোববার থেকে গণপরিবহন সীমিত পর্যায়ে চালু করছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রতিটি বাসে ৫০ শতাংশ আসন খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন মালিকেরা।

এরপর বিআরটিএর ভাড়া নির্ধারণ কমিটি সাময়িকভাবে বাসভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় ক্যাবের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমনিতেই দুই মাসের বেশি সময় ধরে সাধারণ ছুটির মধ্যে অধিকাংশ মানুষের আয়ের সংস্থান নেই। এ সময় গণপরিবহনের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

ক্যাব বাসমালিকদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কয়েকটি পথ বাতলে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অন্যান্য খাতের মতো গণপরিবহনের জন্যও আর্থিক প্রণোদনা বা ভর্তুকি ও স্বল্প সুদে ব্যাংকঋণের ব্যবস্থা করা।

সংগঠনটি বলছে, দুর্যোগকালীন সময়ে বাসভাড়ার বাড়তি চাপ জনগণের ওপর যেন কোনোভাবেই না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ক্যাব দুর্যোগের সময়ে রেল ও নৌপরিবহন খাতে ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকার ও লঞ্চমালিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। ক্যাব মনে করে, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে এর প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়বে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে।