দেশের বাজারে বেকো ও গ্রুনডিগের পণ্য নিয়ে এল সিঙ্গার
তুরস্কভিত্তিক আর্চেলিক গ্রুপের মালিকানাধীন বেকো ও গ্রুনডিগের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। এখন থেকে সিঙ্গার বাংলাদেশের আউটলেটে এ দুটি ব্র্যান্ডের ১০ ধরনের পণ্য পাওয়া যাবে।
ব্র্যান্ড দুটির পণ্যগুলো হচ্ছে: ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ড্রেসার, ডিশওয়াশার, ইলেকট্রিক ওভেন, এলইডি টিভি, ইলেকট্রনিকস পণ্য ও ছোট আকারের হোম অ্যাপ্লায়েন্স। এ ক্ষেত্রে বেকোর ফ্রিজ এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা (৩৬৫ লিটার) থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ ১০ হাজার টাকা (৫৪০ লিটার) দাম পড়বে। বর্তমানে বাজারে একই ধরনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ এক লাখ ২২ হাজার ৫০০ থেকে এক লাখ ৯২ হাজার টাকায় পাওয়া যায়।
এ ছাড়া গ্রুনডিকের এলইডি টেলিভিশনের দাম পড়বে ৪৪ হাজার টাকা (৩২ ইঞ্চি) থেকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা (৫৫ ইঞ্চি) পর্যন্ত। বাজারে ব্র্যান্ডভেদে এলইডি টেলিভিশন ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা (৩২ ইঞ্চি) থেকে এক লাখ ৪৮ হাজার টাকায় (৪৬ ইঞ্চি) পাওয়া যায়।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার এ দুটি ব্র্যান্ডের পণ্য বাজারজাতের ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে গতকাল থেকেই সব সিঙ্গার মেগা শপ ও নির্দিষ্ট সিঙ্গার প্লাস শপে বেকো ও গ্রুনডিগের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।
বেকো ও গ্রুনডিগের পণ্যের বাজারজাতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হুসাইন মুফতুওলু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গার এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্যাভিন জে. ওয়াকার, আর্চেলিক এ এসের প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক গুরহান গুনাল, বিপণন ব্যবস্থাপক সিহান চেহান, সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিম রাহমাতউল্লাহ প্রমুখ।
গ্যাভিন জে. ওয়াকার বলেন, ‘আগামী বছর ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেকোর আলাদা দুটি এক্সক্লুসিভ চেইন শপ চালু করা হবে।’
বাংলাদেশের বাজারে একই ধরনের পণ্য থাকতে মানুষ কেন বেকো ও গ্রুনডিগের পণ্য কিনবে?—এমন এক প্রশ্নের জবাবে হামিম রাহমাতউল্লাহ বলেন, ‘বেকো ও গ্রুনডিগের পণ্যের মান অনেক উন্নত। এ ছাড়া বেকোর পণ্যে ১২ বছরের ওয়ারেন্টি থাকছে।’ বর্তমানে ব্র্যান্ডভেদে ফ্রিজে দুই থেকে পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়।
সিঙ্গার বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।