দেড় কোটি টাকার বিক্রি যেভাবে কমে হয় সাড়ে ১১ লাখ

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অভিযান
ছবি। সংগ্রহীত

বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক রোডে সাইরু হিল রিসোর্ট। সবুজে ঘেরা পাহাড়ের এই রিসোর্ট অল্প সময়েই ভ্রমণপিয়াসী মানুষের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে।

বেড়াতে যাওয়া অধিকাংশ পর্যটকই রিসোর্টের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে আলোচনায় এল সাইরু। রিসোর্টের কর্তৃপক্ষ কেবল অক্টোবরেই সাড়ে ১৭ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে, এমন দাবি করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দীনের নেতৃত্বে আজ সোমবার সাইরু হিল রিসোর্টে অভিযান পরিচালিত হয়। পাশাপাশি সংস্থাটির উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে আরেকটি দল সাইরুর বানানী প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়। তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে রিসোর্টের প্রকৃত বিক্রয় তথ্য উদ্ধার করেন। কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন তথ্য জব্দ করেন।

আরও পড়ুন

গোয়েন্দা অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাইরু হিল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের প্রকৃত বিক্রয় গোপন করেছে। যেমন গত অক্টোবরের ভ্যাট রিটার্নে সাইরু তাদের সেবা বিক্রয় প্রদর্শন করে ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ভ্যাট পরিশোধ করা হয়।

তবে উদ্ধার করা তথ্য অনুসারে, অক্টোবরে সাইরুর প্রকৃত সেবা বিক্রি ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ টাকার। তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আসে ১৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। তাতে ভ্যাটসহ মোট বিক্রি দাঁড়ায় ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী, শুধু অক্টোবরেই ১৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দেয় সাইরু হিল রিসোর্ট।

অন্যান্য মাসেও সাইরু কর্তৃপক্ষের একই রকম ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। এই রিসোর্ট গড়ে প্রতি মাসে ভ্যাট দিয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। অথচ প্রকৃত বিক্রয় অনুসারে ভ্যাট দেওয়ার কথা মাসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

তারা বলছে, সাইরু কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। জব্দ করা কাগজপত্র তদন্ত শেষে রিসোর্টের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় অধিদপ্তর।