ধূমপান করলেই ১ শতাংশ, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ
আমদানি করা তামাকজাত পণ্য এবং দেশে উৎপাদিত এ ধরনের পণ্যের ওপর দামের ভিত্তিতে এক শতাংশ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ হচ্ছে। এ থেকে আদায় হওয়া অর্থ তামাকজনিত রোগ নিরাময়ের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন খাতে ব্যয় করা হতে পারে।
তামাকের কারণে দেশে প্রতিবছর ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান, চার লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তামাকজনিত চিকিৎসার ব্যয়ও বিপুল। এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই এই প্রস্তাব করেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। জাতীয় সংসদে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরেন।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, চারটি স্তরে বর্তমানে সিগারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়। এই স্তর অনুযায়ী কর হার নির্ধারণ করা হয়। এখন থেকে উচ্চ মান এবং এর পরবর্তী মান—উভয়ের ওপর ৭৬ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। মধ্যম মানের সিগারেটের ওপর ৭৫ শতাংশ এবং নিম্নমানের সিগারেটের ওপর ৫৮ শতাংশ কর আরোপ করা হবে।
এই চার স্তরে কর বাড়ানো হয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ পর্যন্ত।
দেশীয় শিল্পের শ্রমিকের স্বার্থ বিবেচনা করে গত পাঁচ বছরে বিড়ি শিল্প খাতে শুল্কহারের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। বিষয়টি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, আমাদের অনেক মাননীয় সংসদ সদস্য বিড়িকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনবরত আবেদন করে যাচ্ছেন।’
বর্তমানে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির করসহ মূল্য পাঁচ টাকা ৩৫ পয়সা। আর ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার বিড়ির করসহ মূল্য ৬ টাকার কিছু বেশি।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সহজলভ্যতার কারণে ব্যাপকসংখ্যক ভোক্তা বিড়ি খায় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বর্তমানে বিড়ি নিম্নমানের সিগারেটে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে বিড়ি কারখানার সংখ্যাও ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
এসব কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে করসহ ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের মূল্য ছয় টাকা ১৪ পয়সা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্য ছয় টাকা ৯৪ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই সঙ্গে জর্দা ও গুলের সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এসব পণ্যে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে।