পণ্য কালোবাজারে বিক্রি, টিসিবির ১০ জনের ডিলারশিপ বাতিল

পণ্য কালোবাজারে বিক্রি এবং ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে ১০ জনের ডিলারশিপ বাতিল করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

কিছুদিন ধরে টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠছে। অনিয়ম হাতেনাতে ধরাও পড়েছে। এরপর সংস্থাটি গত বুধবার এসব ডিলারশিপ বাতিল করে।
পণ্য কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার মাদারীপুরের ক্যাম্প অফিসের অধীনে মাদারীপুরের রাজৈর বাজারের কবিরাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম রাব্বি এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের নিলু স্টোরের মালিক নিলু সরদারের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি দুই প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
একই অপরাধে গত বুধবার রাজশাহীর পবার শফিকুল ইসলাম খান, নেত্রকোনার কেন্দুয়ার মো. মোজাহিদুল ইসলাম, জামালপুরের ইসলামপুরের মো. নুরুল ইসলাম, একই এলাকার মো. রেজাউল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সদরের হক ট্রেডার্সের মো. এনামুল হক এবং পাবনার ঈশ্বরদীর সরকার ট্রেডার্সের উৎপল কুমার সরকারের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এ ছাড়া টিসিবির পণ্যে ওজনে কারচুপির কারণে গত বুধবার ঢাকার আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীন টিকাটুলির আঁখি মনি ট্রেডার্সের মালিক মো. আয়ুব আলী এবং দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর হক ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক ফজলুল হককে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ তাদের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়। এই দুই প্রতিষ্ঠান প্রতি কেজি টিসিবির মসুর ডালের ওজন ৫০ গ্রাম করে কম দিয়ে বিক্রি করছিল তা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধরা পরে।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের তেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ সারাদেশে ৪৬০ স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ১০৫টি স্থানে খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় ৩ হাজার ডিলারের মাধ্যমে এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি। গত বধুবার আবার নতুন করে ৪৪ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়।