পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলতে আর ১৯ মাস

ছবি। প্রথম আলো

২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু। ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগ আয়োজিত এক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই আশাবাদের কথা জানান।

কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজের শেষ সভা ছিল এটি। আগের মতো গতকালও সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার। অর্থসচিব দেশের অর্থনীতির ইতিবাচক দিকগুলো শুধু তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জার্মান সরকারের অর্থায়নে পোশাক, চামড়া ও পাদুকাশিল্পের শ্রমিকদের জন্য চলমান একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি সই হয় ২ ডিসেম্বর।

আরও পড়ুন

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো তৈরির কাজ শেষ। আশা করছি, ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এই সেতু সবার জন্য খোলে দেওয়া হবে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আশা পূরণ হলে আর ১৯ মাস পরই পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। এখনো এর দেখাশোনা করে থাকি।’

পদ্মা সেতু ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তাতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকার আশা করছে।

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, একজন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু পুরো দৃশ্যমান হয়েছে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, পদ্মা সেতু যাতে না হয়, সে জন্য অনেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়ন ছাড়া নিজস্ব অর্থে এ সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। কিন্তু সব ষড়যন্ত্র ও বাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর পুরো কাঠামো এখন দৃশ্যমান।

অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেগুলো রয়েছে, তা দিয়ে দরিদ্রদের মাত্র ৩৩ শতাংশের কাছে পৌঁছানো যায়। কিছু কর্মসূচির সুবিধাভোগী কোভিডের সময়ে না বাড়িয়ে উল্টো স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও কমে গেছে।