পাঁচ ঘণ্টায় ডিজিটাল হাটে বিক্রি হয়েছে ১৪টি পশু
উদ্বোধনের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল পশুর হাটে ১২টি গরু ও ২টি ছাগল বিক্রি হয়েছে। আজ রোববার এই হাট উদ্বোধনের সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫০ টাকায় বাদামি রঙের ৩৫০ কেজি ওজনের একটি দেশি ষাঁড় কেনেন।
রোববার বেলা একটায় এই ডিজিটাল পশুর হাট উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বলেন, ‘করোনা অন্যান্য অর্থনীতির যে ক্ষতি করেছে, আমাদের ততটা করতে পারেনি। তবে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা আমাদের করতে হবে। অনলাইন হাটে পশু কেনাবেচা হলে সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর থেকে ডিজিটাল হাট আয়োজন করা হচ্ছে। গত বছর সেই হাটে বিক্রি হয়েছিল ২৭ হাজার পশু। তবে এ বছর আয়োজকদের এক লাখ পশু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা আছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে এবারের ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন। সহযোগিতায় আছে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, এটুআই-একশপ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল হাট ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে আয়োজিত হলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ছাড়াও সাভার পৌর এলাকার ক্রেতারা গরু কিনতে পারবেন। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য পৌরসভা অনলাইনে হাট করার সিদ্ধান্ত নিলে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবে। অনলাইনে গরু কিনলে সিটি করপোরেশনকে হাসিল দিতে হবে না।’
গত বছরের অনলাইন হাটের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারের হাটে অনলাইনে কসাই বুকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কসাইখানায় সর্বোচ্চ এক হাজার পশু কোরবানি হবে। সেখান থেকে ২৬টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যানের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ধরনের বিরোধ হলে তা নিষ্পত্তি করবে ই-ক্যাব। জীবন্ত পশু বা মাংস, যা-ই ডেলিভারি দেওয়া হোক না কেন, তার দাম বিক্রেতা বহন করবে। ক্রেতার কাছ থেকে এ বাবদ আলাদা অর্থ নেওয়া যাবে না।
অনলাইন হাটের ওয়েবসাইটটিও কিছুটা উন্নত করা হয়েছে। ফিল্টারের মাধ্যমে পশুর আকার, দাম, স্থান ইত্যাদি নির্ধারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল।
https://digitalhaat.net/ ওয়েবসাইটে ঢুকে ডিজিটাল হাট থেকে পশু কেনা যাবে। পশু বিক্রেতার মুঠোফোন নম্বরও যুক্ত করা হয়েছে। চাইলে পশু কেনার আগে বিক্রেতার সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলে পশু কেনা যাবে।
শুধু ই-ক্যাব বা বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ডিজিটাল হাটে গরু বিক্রি করতে পারবেন। এ ছাড়া তৃণমূলের খামারিরা সরাসরি জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন বা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাটে অংশ নিতে পারবেন। তবে নিবন্ধিত না হলে কেউ হাটে অংশ নিতে পারবেন না।