পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বাড়ল

চাল ও ভোজ্যতেলের দাম কমার লক্ষণ নেই। মুরগির দামও আগের মতোই চড়া।

পেঁয়াজ
ফাইল ছবি

বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাগছে। বাছাই করা পেঁয়াজ ৫৫–৬০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে কোনো কোনো বাজারে।

চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, মুরগি ও গরুর মাংসের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে পেঁয়াজের দামও বাজার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের শুরুর দিকে বাজারে আসা কন্দ বা মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ শেষের দিকে। বীজ থেকে উৎপাদিত হালি পেঁয়াজ এখনো পুরোদমে উঠতে শুরু করেনি। এ কারণেই দাম বেড়েছে।

বাজারে সাম্প্রতিক চাল ও ভোজ্যতেলের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, তা কমেনি। খুচরা দোকানে নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং মাঝারি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাঁটাসুর, রায়েরবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, খুচরা দোকানে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মেহেরপুরের সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা যায়।

মসলাজাতীয় পণ্যের পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের নবীন ট্রেডার্সের মালিক নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহ বাজার কিছুটা ওঠানামার মধ্যে থাকবে। এরপর নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে।


বাজারে সাম্প্রতিক চাল ও ভোজ্যতেলের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, তা কমেনি। খুচরা দোকানে নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং মাঝারি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। দুই সপ্তাহ ধরে মুরগির মাংসের দামে যে বাড়তি ধারা ছিল, সেখানেও কোনো ভাটা পড়েনি। খুচরা বাজারে সোনালিকা জাতের মুরগি প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মাসের শেষ দিকে পবিত্র শবে বরাত। এরপর দামে লাগাম আসতে পারে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারে গুঁড়া দুধের তিনটি ব্র্যান্ডের পরিবেশক প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কত বাড়বে, তা এখনো জানায়নি। দাম বাড়ানোর ঘোষণার কারণে আগে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) থেকে যে ছাড় পাওয়া যেত, তা দিচ্ছেন না বিক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারে গতকাল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধ ৫৫০ থেকে ৬৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

ধানমন্ডির রায়েরবাজার কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা মোল্লা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যেরই দাম বাড়ছে।