বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি দুই কোম্পানি আসছে
বেজার কাছে আবেদন করেছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন লিমিটেড।
যে দেশ থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, করোনার মধ্যে সেই চীন থেকে বাংলাদেশে একের পর এক বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আসছে। চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন লিমিটেড (সিসিইসিসি) এবং জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস লিমিটেড নামের দুটি চীনভিত্তিক কোম্পানি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে কারখানা নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ১০ একর জায়গা চেয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কাছে আবেদন করেছে সিসিইসিসি। একই শিল্পনগরে ৮ একর জায়গা চেয়েছে জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস লিমিটেড।
এই দুটি বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজা। তারই অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে চীনা দুটি কোম্পানির সঙ্গে জমির ইজারা চুক্তি করতে যাচ্ছে বেজা।
এর আগে গত আগস্টে করোনা মহামারির মধ্যে চীনের আরেকটি কোম্পানি ইয়াবাং গ্রুপকে ১০০ একর জমি লিজ দিয়েছিল বেজা। সেখানে কোম্পানিটি ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ‘করোনার মধ্যে বিদেশি কোম্পানিগুলো যেভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে, আমরা অবশ্যই তাদের সাধুবাদ জানাই। মহামারির মধ্যে বিনিয়োগ করতে আসার মানে হলো, তাদের আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছি। নতুন দুটি কোম্পানিকে আমরা জমি ইজারা দিতে যাচ্ছি। দুটি কোম্পানিই শতভাগ রপ্তানিমুখী। জমি লিজ পাওয়ার পর তারা যত দ্রুত সম্ভব কারখানা নির্মাণ শুরু করতে চায়।’
বেজা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সিসিইসিসি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি। নির্মাণশিল্পে যেসব কাঁচামাল প্রয়োজন হয়, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে জমি পেলে তারা সেই কাঁচামাল উৎপাদন করবে। বিশেষ করে স্টিল তৈরির কাঁচামাল। তথ্য বলছে, সিসিইসিসি বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৩৬ কোটি টাকা।
অন্যদিকে জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস কোম্পানি লিমিটেড অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি পেলে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম তৈরি করবে—আইসোলেশন গাউন, ল্যাব জ্যাকেট, ডিসপোজিবল ক্যাপ, বুট কভার, শু কভার ইত্যাদি। কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ২৭ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১০৮ কোটি টাকা।