বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানও প্রণোদনার ঋণ পাবে

ঢাকা ইপিজেড।
সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে কম সুদের প্রণোদনার ঋণ নিতে পারবে বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানও। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এরই মধ্যে ৮৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আটটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ইপিজেডে অবস্থিত ‘এ’ শ্রেণির প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি বিদেশি মালিকানাধীন, ‘বি’ শ্রেণির প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি-দেশি যৌথ মালিকানার এবং ‘সি’ শ্রেণির প্রতিষ্ঠানগুলো দেশি মালিকানার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) আওতায় থাকা ইপিজেডের কারখানা ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্কে অবস্থিত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণসুবিধা পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রণোদনার অর্থ বেজা, বেপজা, হাইটেক পার্কে অবস্থিত ‘এ’ শ্রেণির শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঋণ হিসেবে যুক্ত হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে জড়িত দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ও কর্মসংস্থান অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ইপিজেডে অবস্থিত ‘এ’ শ্রেণির প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি বিদেশি মালিকানাধীন, ‘বি’ শ্রেণির প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি-দেশি যৌথ মালিকানার এবং ‘সি’ শ্রেণির প্রতিষ্ঠানগুলো দেশি মালিকানার।

বিশ্ব প্রতিযোগিতায় ইপিজেডের কারখানাগুলো পিছিয়ে পড়ছিল। এ জন্য প্রণোদনা ঋণের দাবি করে আসছিল ইপিজেডের কারখানাগুলো। এখন সব ধরনের কারখানাকে প্রণোদনার ঋণসুবিধার আওতায় নিয়ে আসার ফলে সবাই উপকৃত হবে।
নাজমা বিনতে আলমগীর, মহাব্যবস্থাপক, বেপজা

জানতে চাইলে বেপজার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর প্রথম আলাকে বলেন, বিশ্ব প্রতিযোগিতায় ইপিজেডের কারখানাগুলো পিছিয়ে পড়ছিল। এ জন্য প্রণোদনা ঋণের দাবি করে আসছিল ইপিজেডের কারখানাগুলো। এখন সব ধরনের কারখানাকে প্রণোদনার ঋণসুবিধার আওতায় নিয়ে আসার ফলে সবাই উপকৃত হবে।