বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বেনাপোল স্থলবন্দর। ফাইল ছবি
বেনাপোল স্থলবন্দর। ফাইল ছবি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। আজ সোমবার থেকে টানা ছয় দিন এ বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আজ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেখানে সব ধরনের যানবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত কেউ কোনো কাজে যোগ দেননি। ফলে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে কোনো ট্রাক ছেড়ে যায়নি বা কোনো ট্রাক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকেনি।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, ‘ভারতের কাস্টম দপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা আছে, পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের কারণে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আবদুল জলিল বলেন, সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য ওঠানো-নামানোসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা মূলত বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমাদানি করি। হঠাৎ করে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি। ছয় দিন পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে দেশে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।’
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ১২৫ থেকে ১৫০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।