বেশি কাজ পাওয়া ঠিকাদারের তালিকা চান প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় যে ঠিকাদারেরা বেশি কাজ পেয়েছেন, তাঁদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশ দিয়ে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনেক কাজ পেয়ে যায়। যে কারণে সব প্রকল্পে ঠিকাদারেরা সমান গুরুত্ব দেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক উন্নয়ন প্রকল্প আছে, যেগুলো বাস্তবায়নে অনেক দেরি হয়ে যায়। সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না। রাজধানীর গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল একনেক সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রণালয়কে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে কতটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে এবং কোন ঠিকাদার কতটি কাজ করছে, তা জানানোর নির্দেশ দেন।

একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোন ঠিকাদার কতটি কাজ পেয়েছে, সেই তালিকা তৈরি করবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুষ্টিমেয় কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে, এটা হতে পারে না। নতুনদেরও কাজ দিতে হবে। কাজ না করলে অভিজ্ঞ হবে কীভাবে। উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে চাইলে এক ঠিকাদারকে বেশি কাজ দেওয়া যাবে না। পরিকল্পনা সচিব বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে প্রধানমন্ত্রী চালকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে বলেছেন, যাতে তাঁরা বিশ্রাম নিতে পারেন।

গতকালের একনেক সভা ঝিনাইদহ-যশোর অংশের ৪৯ কিলোমিটার রাস্তা ৬ লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বেনাপোল, ভোমরা স্থলবন্দর ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে নেওয়া এই প্রকল্পে ৪ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এ ছাড়া যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা—এই ৪ জেলায় ৬৬১ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা সচিব আরও বলেন, একনেক ১০ হাজার ৭০২ কোটি টাকার মোট ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। বাকি ৪ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা মিলবে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণে। অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়) প্রকল্প, ৩০৭ কোটি টাকার শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি স্থাপন (সংশোধিত), ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার কক্সবাজার জেলার খুরুশকুল এলাকায় বিশেষ আশ্রয়ণ।