ব্যাংকে যান, আবার ভোক্তা ঋণ পাবেন

ভোক্তা ঋণ বাড়াতে বড় ছাড়

  • ভোক্তা ঋণ মূলত ব্যক্তিগত ঋণ, গাড়ি ঋণ, আবাসন ঋণ, শিক্ষা ঋণ প্রভৃতি

  • ব্যাংকগুলোকে মুনাফা থেকে এই নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়।

ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনতে চান বা কোনো আসবাব বা অন্য কিছু? ব্যাংকগুলো ভোক্তা ঋণ এত দিন কার্যত বন্ধই রেখেছিল। অবশেষে আবার চালু হচ্ছে এই ভোক্তা ঋণ।
বন্ধ থাকার কারণ হচ্ছে, গত এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণে ৯ শতাংশ সুদহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে ভোক্তা ও খুচরা ঋণ প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে। এখন এসব খাতে ঋণ বাড়াতে নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে ভোক্তা খাতে অশ্রেণিকৃত বা ভালো ঋণে ৫ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হতো। আজ তা কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে খুচরা ও ভোক্তা ঋণ বিতরণ করা যাবে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। কারণ, এতে ব্যাংকগুলো বড় ধরনের ছাড় পাচ্ছে।
ভোক্তা ঋণ মূলত ব্যক্তিগত ঋণ, গাড়ি ঋণ, আবাসন ঋণ, শিক্ষা ঋণ প্রভৃতি। ব্যাংকগুলোকে মুনাফা থেকে এই নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়।

ব্যাংকগুলো বলছে, আগে ৯ শতাংশ সুদহারের মধ্যে নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ৫ শতাংশ চলে যেত। আর আমানতের খরচ কমপক্ষে ৫ শতাংশ। পাশাপাশি পরিচালন খরচ রয়েছে। ফলে কোনোভাবেই ঋণ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এখন নিরাপত্তা সঞ্চিতি ২ শতাংশ করায় ৭ শতাংশ থাকবে। ৫ শতাংশ তহবিল খরচ ও ২ শতাংশ পরিচালন খরচ হলে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবাসন ও পেশাদারদের ঋণ বাদে সব ধরনের অশ্রেণিকৃত ভোক্তা ঋণে ৫ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হয়। তবে অশ্রেণিকৃত ক্রেডিট কার্ডে নিরাপত্তা সঞ্চিতি ২ শতাংশ। এখন ভোক্তা ঋণের চাহিদা মেটাতে ও ব্যাংকগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের অশ্রেণিকৃত ভোক্তা ঋণে ২ শতাংশ নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হবে। আর আবাসনে নিরাপত্তা সঞ্চিতি আগের মতোই ১ শতাংশ থাকবে।

ব্যাংকগুলো জানায়, সুদহার ৯ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় গাড়ি ঋণ বিতরণ প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে। ব্যক্তিগত ঋণ বিতরণেও অনেক কঠোর হয়ে এসেছে অনেক ব্যাংক। এর ফলে ইলেকট্রিক, ফার্নিচারসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কারণ, ঋণের বড় অংশই এসব কেনাকাটায় চলে যায়।

ভোক্তা ঋণের বড় অংশ বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংকের। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, নতুন এই সুবিধার ফলে ভোক্তা ঋণে আর লোকসান গুনতে হবে না। ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে গ্রাহকেরা যেমন ঋণ পাবেন, বিভিন্ন খাতের ব্যবসাতেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ব্যাংকগুলোরও ঋণ কার্যক্রম চাঙা হবে। খুব বেশি মুনাফা না হলেও খরচ উঠবে

ব্যাংকগুলো বলছে, আগে ৯ শতাংশ সুদহারের মধ্যে নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ৫ শতাংশ চলে যেত। আর আমানতের খরচ কমপক্ষে ৫ শতাংশ। পাশাপাশি পরিচালন খরচ রয়েছে। ফলে কোনোভাবেই ঋণ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এখন নিরাপত্তা সঞ্চিতি ২ শতাংশ করায় ৭ শতাংশ থাকবে। ৫ শতাংশ তহবিল খরচ ও ২ শতাংশ পরিচালন খরচ হলে ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারবে।