ভাত খাওয়ায় শীর্ষে চীন

মাছে-ভাতে বাঙালি, বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ। কিন্তু ভাত খাওয়ায় এখন বাংলাদেশিদের ছাড়িয়ে গেছে চীন। পুরো বিশ্বে ভাত খাওয়ায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে দেশটি। ভাত খাওয়ায় শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারতকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে চীন।
বিশ্ব অর্থনীতির পরিসংখ্যান ও প্রবণতা নিয়ে দ্য ইকোনমিস্টে-র ‘ওয়ার্ল্ড ইন ফিগার’ ওয়েবসাইটে এমন তথ্যই মিলেছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পরিসংখ্যান দিয়ে ভাত খাওয়ায় এগিয়ে থাকা দেশের তালিকাটি করেছে ইকোনমিস্ট।
চীনের মানুষ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট ১৪ কোটি ৬৩ লাখ কোটি টন চালের ভাত খেয়েছে। পরের অবস্থানে আছে ভারত। দেশটির মানুষ খেয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার টন চালের ভাত। ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টন চালের ভাত খেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ। আর চতুর্থ বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষ ৩ কোটি ৪৯ লাখ টন চালের ভাত খেয়েছে আলোচ্য বছরে।
চীনের এগিয়ে থাকার একটি কারণ হচ্ছে, তাদের লোকসংখ্যা বেশি। ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ইকোনমিস্ট বলছে, দেশটির জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। ভারতের আছে ১৩০ কোটি। আর বাংলাদেশের ১৫ কোটি ৮৮ লাখ।
তবে মোট জনসংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশিরা পিছিয়ে থাকলেও মাথাপিছু ভাত খাওয়ার হিসাবে কিন্তু চীনাদের চেয়ে বাংলাদেশিরাই এগিয়ে রয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে একজন বাংলাদেশি গড়ে ভাত খেয়েছেন ২১৭ কেজি চালের। ইন্দোনেশিয়ার মানুষের বেলায় এ পরিমাণ ১৫১ কেজি চাল। আর চীনারা খেয়েছে ১০৪ কেজি চালের ভাত। ভারতীয়রা সবচে কম, মাত্র ৭৬ কেজি চাল!